বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার রাজধানীতে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অফিস ও স্কুলগামী যাত্রীরা। ভোর থেকে সড়কে দুয়েকটি বাস চললেও সেই বাসগুলোতে উঠতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে।
সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকায় বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো গণপরিবহনের দেখা মিলছে না। ফলে অফিসযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক-বীমায় কর্মরত হাজার হাজার মানুষকে অফিসে যাওয়ার জন্য সিএনজি ও ট্যাক্সির মতো ব্যয়বহুল পরিবহন কিংবা অন্য কোনো উপায়ের গন্তব্যে যাচ্ছেন। দুয়েকটি বাস চললেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেগুলোতে উঠতে পারছেন না।
ভোর থেকে মিরপুর-১, ১০ ও ১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও কালশী সড়কে লাইসেন্সধারী গণপরিবহন দুয়েকটি চলছে। মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগের সড়কগুলোতে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। মহাখালী, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নাবিস্কো, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার কোনো সড়কেও গণপরিবহন কম ছিল।
রাজধানীর প্রগতি সরণি সড়কে বেপরোয়া চালকের বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহতের হওয়ার ঘটনায় সংগঠিত সড়ক অবরোধ মঙ্গলবারের মতো স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
তবে আজ সকাল ৮টা থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশ, ওই এলাকার কাউন্সিলর ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে অনুরোধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত কর বলে জানা গেছে। বিইউপি সহকারী রেজিস্ট্রার মাকসুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে। আমরা তাদের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
এদিন শিক্ষার্থীরা অবরোধ উঠিয়ে নিলে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।