হাজার কাজের মধ্যে থাকলেও এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করেন না টাইগার দলের উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। খেলার সময় বা অনুশীলনের সময় মাঠে যখন নামাজ পড়েন তখন জাতীয় দলের জার্সির লোগোতে থাকা বাঘের ছবি ঢেকে নামাজ পড়েন। এবার মুশফিকের এই বাঘের ছবি ঢেকে নামাজ পড়া নিয়ে কিছু মানুষের মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। মুশফিককে নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মুশফিকের উদ্দেশ্য করে দুটি কমেন্ট তুলে ধরা হলোঃ
শরীফ নামে একজন লিখেছেন, ‘এতই যদি মুমিন হন তাহলে খেলাধুলা বাদ দিলেই পারে, কারণ ইসলামে খেলা হারাম।’ পিয়াল নামে একজন লিখেন, ‘এইটা অবশ্যই একটা অন্যায়, যেটারে ডিফেন্ড করা উচিত না। তুমি টিম লোগো ঢাকতে পারো না, এটা ইনসাল্ট। তুমি ধার্মিক ওকে, নামাজ পড়বা সমস্যা নাই, জাতীয় দলের পোশাকে কেন? একটা সাদা টি শার্ট পরো, ১৫ সেকন্ড লাগবে বড়জোর গায়ে চাপাইতে। তোমার লেখা খুব পছন্দ করি এবং এটাও সত্য মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ দলের জন্য অনেক করছে। কিন্তু টাইগার ঢাইকা টাইগার সাজা ভণ্ডামি।’
এ নিয়ে জিয়া আরফিন আজাদ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘খেলার বাইরে বা নামাজের সময়টা একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত। সেখানে সে আইনের মধ্যে থেকে যা খুশি করতে পারেন। তবে ইউনিফর্ম বা লোগোর গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। একটা টি-শার্টে টেপ লাগাতে যেসময় লাগবে তার চেয়ে অনেক কম সময়ে নতুন আরেকটা পড়া যায় কিংবা টি-শার্টের ওপরে জ্যাকেট গায়ে দেওয়া যায়। পুরো প্রক্রিয়ায় পাঁচ সেকেন্ডের বেশি লাগার কথা নয়। ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত হোক, ন্যাশনাল লোগো বিকৃতি জাতীয়
চেতনার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে।’
মূলত ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী নামাজ পড়ার সময় জীব-জন্তুর ছবি সংবলিত পোশাক পরা যায় না। তাই মুশফিক দলের অনুশীলনের জার্সিতে থাকা লোগোতে টেপ লাগিয়ে রাখেন। তবে মুশফিক একা নন। জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ই খেলার সময় বা অনুশীলনের সময় যখন নামাজ পড়েন তখন জার্সির লোগোতে থাকা বাঘের ছবি ঢেকে নামাজ পড়েন।