Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩১ PM
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে। গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজ চলাকালীন ওই রক্তাক্ত হামলার পর মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের সময় উগ্র-ডানপন্থী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি। মসজিদের ভেতরে ঢুকে ঘাতকের সেই নৃশংস হামলা আরও প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। যাদের অনেকেই এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিয়ে স্পিকারকে সালাম জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন। মসজিদে হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে পার্লামেন্টের স্পিকারকে সম্বোধন করে জাসিন্ডা বলেন, মিস্টার স্পিকার, আস সালামু আলাইকুম। পরে ইংরেজিতে বলেন, পিস বি আপন উইথ ইউ (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।

পার্লামেন্টের ওই অধিবেশনে তিনি হতাহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে হামলাকারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাহসী নাইম রশিদের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নাইমসহ নয় পাক নাগরিক নিহত হন। সংসদের অধিবেশনে জাসিন্ডা বলেন, হতাহতদের পরিবার বিচার পাবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ঘৃণ্য ওই হামলাকারীর নাম কখনই মুখে নেবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হামলাকারী অনেক কিছু করতে চেয়েছিল; কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া সে কিছুই পায়নি। যে কারণে আপনি আমার মুখে কখনই তার নাম শুনতে পাবেন না। শুক্রবারের ওই হামলায় বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, কুয়েত, সোমালিয়া এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ৪৯ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদ ও লিউনউডের ইসলামিক সেন্টারের মসজিদে হামলার নেপথ্যে কাজ করেছিল ঘাতক ট্যারান্টের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মনোভাব। তিনি মসজিদে হামলা চালানোর আগে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি কথিত ইশতেহারে প্রকাশ করেন অনলাইনে। যেখানে তার মুসলিম বিদ্বেষের মনোভাব স্পষ্ট।

Bootstrap Image Preview