Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যারা বেশি কথা বলে তারা কিছুই করে না: অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৮:০৭ PM
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৮:০৭ PM

bdmorning Image Preview


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি বলেছেন, যারা শুধু শুধু বেশি কথা বলে তারা কোন কাজ করেন না। কোন লোকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন না। অযথা বেশি কথা বলে।

আজ সোমবার বিকালে সরকারি খাতের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব পরিচালকের সঙ্গে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলনে কক্ষে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকটি বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৫ টায় শেষ হয়। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে কিছু সমস্যা আছে। এগুলোতে হাত দিতে হবে। এসব সমস্যা সমাধান করবো। তবে কাউকেই পথে বসাবো না। কারো চারটি প্রতিষ্ঠানের একটিতে লাভ থাকলে বাকিগুলো বন্ধ করা হবে না।

তিনি বলেন, আমরা দ্রুত অডিটে হাত দেব। ব্যালেন্সশিটে যা আছে প্রকৃতপক্ষে সেই পরিমাণ সম্পদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সমস্ত সম্পদেরই অডিট হবে।

ঋণগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি বলেন, ভালো ব্যবসায়ী যারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের ঋণ দেয়া হবে। আর যারা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয় না তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আর বাড়ানো হবে না। বার্ষিক হিসেবে সুদ ধরা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এখন অনেক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। যারা বেশি বেশি কথা কথা বলেন তারা কোন কাজ করেন না।

তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনানুগ শাস্তি দেওয়া হবে। আর যারা ভালো ব্যবসায়ী তাদের পুরস্কৃত করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেওয়া হবে না। ব্যাংকের সুদ হবে সহজ-সরল। বার্ষিক হারে সুদ বৃদ্ধি পাবে। কেননা সুদ দিতে গিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়ে।

মুস্তফা কামাল বলেন, যারা ব্যাংক বোঝে এমন লোকদের দিয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবো। চাকরি পায়না তাদের ধরে এনে ব্যাংকের পরিচালক বানিয়ে দেয় এটি বন্ধ করে দেব।

বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সব পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview