Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

উপকূলীয় অঞ্চলে দিনবদলের হাতিয়ার কাঁকড়া চাষ

জামশেদুর রহমান, সেনবাগ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫৫ PM
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৬:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় কাঁকড়া চাষেই দেখা দিয়েছে মানুষের দিন বদলের প্রধান উৎস।

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও সুবর্ণচর ২টি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবার কাঁকড়া চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করেন।

উপকূলীয় নদী, খাল ও পুকুরে নিজস্ব উদ্যোগে হ্যাচারী ও ঘের করে কাঁকড়া চাষ করছেন তারা। এখানে ২ হাজার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে কাঁকড়া চাষ। কম খরচে অল্প জায়গায় অধিক উৎপাদন হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কাঁকড়া চাষে। এখানকার চাষ করা কাঁকড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে বিদেশে। তবে প্রশিক্ষণ আর ঋণ সুবিধার অভাবে অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে কাঁকড়া উৎপাদন।

আর হাতিয়া ও সুবর্নচর উপজেলায় সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে কাঁকড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে চাষীরা। বাংলাদেশে খাবার হিসেবে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা না থাকলেও বিশ্বের অনেক দেশে এটি সুস্বাদু খাবার হিসেবে বেশ সমাদৃত। আর এ কাঁকড়া রপ্তানি করে বিদেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

কাঁকড়া চাষের পরিশ্রম কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও তুলনামূলক কম। কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধিও ঘটে দ্রুত। উপকূলীয় এলাকা গুলোতে কাঁকড়া চাষ করে অনেকেই এর সুফল পাচ্ছেন। বতর্মানে কেবল দক্ষিণাঞ্চল থেকেই কাঁকড়া রপ্তানির মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সারা দেশ থেকে এ কাঁকড়া রপ্তানি-আয়ের পরিমাণ বছরে প্রায় ১০০কোটি টাকা।

এছাড়া নিঝুম দ্বীপ ও নতুন করে জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা থেকে বারো মাসই কাঁকড়া আহরন করছেন শিকারীরা। এর মধ্যে বড় কাঁকড়া বাজারে পাঠিয়ে দিয়ে ছোটগুলো ঘেরে ১৫/১৬ দিন রেখে বড় করে রপ্তানী যোগ্য করা হয়। আকার অনুযায়ী কাঁকড়াকে বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করা হয়। প্রতি কেজি কাঁকড়া আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হয়।

সুবর্নচর ও হাতিয়া উপজেলার কাঁকড়া ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান ও মনির হোসেন জানান, সুবর্ণচর উপজেলার মৎস্য অফিস থেকে কোনো প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ায় কাঁকড়া চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। প্রতিবছর এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে যে পরিমাণ কাঁকড়ার পোনা হয়। প্রতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং জুন থেকে জুলাই হচ্ছে কাঁকড়ার প্রজননের উপযুক্ত সময়। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চল এলাকার জলাশয়ে প্রচুর কাঁকড়ার পোনা দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, সুবর্ণচর উপজেলায় কাঁকড়া ও কুচিয়া প্রকল্প না থাকায় সাধারনত কাঁকড়া চাষীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আগামীতে কাঁকড়া চাষীদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। চাষীদের সুবিধার্থে সকল ধরণের সুবিধা দেওয়া হবে।

 

Bootstrap Image Preview