কক্সবাজারের উখিয়ায় বোরো মৌসুমে ধানকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে-ময়দানে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে দেখা গেছে।
উখিয়ায় ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৪৭, ব্রি-৫৮, ব্রি-৬৩, ব্রি-৬৭, ব্রি-৬৯, ব্রি-৭৪, বিনা-১০, হাইব্রিড জাত SL8H, ময়না, টিয়া জাতের ধানের চাষ বেশি হয়ে থাকে। ব্রিধান ২৮ চিকন ও ভাত খেতে ভারি সু-স্বাদু হওয়ায় এর চাষ বেশি হয়। কিন্তু এ জাতেই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি। কৃষি বিশেষজ্ঞরা রোগ-বালই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ধানের জাত চাষ করার পরামর্শ দিয়ে থাকলেও কৃষকরা তা মানতে নারাজ বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ রহমতের বিলের কৃষক হাফেজ কলিম উল্লাহ ও পূর্বধামন খালীর কৃষক মোঃ রফিক জানান, ধানকে রোগ-বলাই থেকে রক্ষা ও ফলন বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল করিম।
পাংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ব্লকে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল করিম জানান, এই সময়ে ব্লাস্ট রোগে ধান আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ব্লাস্ট রোগে ধান আক্রান্ত হয় ধানের ফলন ৮০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই রোগ থেকে ধানকে রক্ষা করতে করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে উঠান বৈঠক, ধানের চাষ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। কৃষকরা সচেতন হলেও ধানকে রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করা গেলে বোরোর বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ধানের জাতের চাষ করা, জমিতে জৈব সার বেশি পরিমাণে ব্যবহার, সুষম মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার, সারি এবং লগো পদ্ধতিতে ধান চাষের মাধ্যমে বোরো ধানের ফলন বাড়ানো সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা গেলে বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহারে রোগ নিরাময় করা যায়।
জানা যায়, সরকার ও কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের অনলাইনে সেবা দিতে চালু করেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এ্যাপস। কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, ফসলি, ধান বিশেষজ্ঞ, কৃষকের জানালা এ্যাপসগুলোর মাধ্যমেও রোগ নির্ণয় ও রোগ প্রতিরোধসহ কৃষকরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পরামর্শ নিতে পারেন।