রক্ত চোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলো, আজকে যখন হাতের মুঠোয় কণ্ঠনালীর খুন পিয়াসী ছুরি, কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে কেউটে সাপের ঝাপি, আমার হাতেই নিলাম আমার নির্ভরতার চাবি তুমি আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া, তুমি বাংলা ছাড়ো কবিতার লেখক তালার তেঁতুলিয়ায় কবি সিকানদার আবু জাফর মেলা তেমন জমছে না। বিশাল আকারের মাঠে গুটিকয়েক দোকানপাট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। বিনোদনের ব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় কাঙ্খিত দর্শকের দেখা মিলছে না।
বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি সিকানদার আবু জাফরের জন্মজয়ন্তি উপলক্ষ্যে ২০০১ সাল হতে পারিবারিকভাবে কবির জন্মভিটা তালার তেঁতুলিয়া প্রামে সিকানদার আবু জাফর মেলা নামে জৌলুস অর্জন করেছিল। মেলাটি ২০১৭ সালে সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এ মেলার টেন্ডার বিক্রি হয়। চলতি মেলা কবির শতবর্ষ জন্মজয়ন্তি উদযাপনে মাত্র দুই লক্ষাধিক টাকায় মেলাটির টেন্ডার পেয়েছেন মাস্টার আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ফলে বিনোদন তো দূরের কথা দর্শক প্রিয়তায় হারিয়ে ফেলছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য তালার তেঁতুলিয়ার সিকানদার মেলা।
সরেজমিন মেলাচত্বর ঘুরে দেখা যায়, মেলার মাঠে একটিমাত্র বইয়ের দোকান। তবে দোকান থাকলেও দেখা মেলেনি কবির রচিত কোন বইয়ের। মাঠে রয়েছে ৫-৬টি চায়ের দোকান, ১-২টি কাপড়ের দোকান, ২-৩টি ঝাল মুড়ির দোকান, ৭-৯টি মনোহারির দোকান,খাট-পালঙ্গের ৩-৪টি দোকান সহ ভ্রাম্যমাণভাবে আসে ২-১টি দোকান। কিন্তু নেই কোন প্রকারের ক্রেতা। বিনোদনের জন্য রয়েছে ১টি নাগরদোলা, ১টি মিনি সার্কাস আর ১টি যাত্রার প্যান্ডেল। আর রয়েছে ৩-২ শত দর্শক। মেলা প্রেমিক মানুষরা হতাশ হয়ে ফিরে ঘরে। মুক্ত মঞ্চটি করা হয়েছে মেলার বাইরে সবুজ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের মাঠে।
দর্শনার্থী আতাউর রহমান এলিটসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিকানদার মেলার প্রাণ র্যাফেল ড্র। বর্তমান মেলাটিতে র্যাফেল ড্র দোকান পাট তেমন একটা না থাকায় দর্শণার্থীরা মেলার প্রাঙ্গণমুখী হতেই চাচ্ছে না। দর্শণার্থীদের একান্ত দাবি ঐতিহ্যবাহী মেলাটির ইতিহাস ধরে রাখতে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে জানাতে বাহারী দোকানের পাশাপাশি লোকজ সংস্কৃতি আয়োজন করতে পারলে প্রাণ ফিরে পাবে এ মেলার।