নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই সন্ত্রাসীর বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলার পর নিউজিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির স্তর সাধারণ থেকে দ্রুত উচ্চ পর্যায়ে নেওয়া হয়। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়। একইসঙ্গে পথচারীদের চলাচলে নজরদারি বাড়ানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে এবারের মতো নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ দেশের ইতিহাসে আর কখনও নেওয়া হয়নি।
হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডডার্ন এই হামলাটিকে ‘দেশের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলোর মধ্যে একটি’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, সন্দেহভাজন হিসেবে হামলাকারীর পরিচয় জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। অস্ট্রেলিয়ান ওই হামলাকারীর নাম ব্রেন্টন ট্যারেন্ট (২৮)।অপরদিকে, হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নিজেদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে এ হামলা হয়। এতে অন্তত ৪৯ জন নিহত হন। এদের মধ্যে দুই বাংলাদেশিও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪৯ জন। এদের মধ্যেও একাধিক বাংলাদেশি আছেন। তবে বর্বরোচিত হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।