নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ বাংলাদেশিসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। এ ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন নিহতের স্বজনরা।
ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে ফেরারা জানান, ওই মুহূর্তে তাদের একটিই প্রার্থনা ছিল যাতে হামলাকারীর বন্দুকের গুলি শেষ হয়।
তারা জানান ১৫ থেকে বিশ মিনিট ধরে চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এ সময় ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। জরুরি সেবায় ফোন দেয়ার অনেক পরে সেখানে পোঁছায় পুলিশ।
এমনকি আহতদের হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রেও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। স্থানীয়দের সাহায্যে প্রাইভেট গাড়িতে করেই অনেককে হাসপাতালে নেয়া হয়। আর তাই মসজিদে ভয়াবহ এই হামলার পর দেশটির সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, জুমার নামাজের পর মসজিদ দু’টিতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে চালানো ভয়াবহ এই হামলায় তিন বাংলাদেশিসহ অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন। গণহত্যা চালানোর আগে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী অনলাইনে একটি পোস্ট করে জানায়, সে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। দখলদারদের (অভিবাসী) ওপর প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা করেছে।