Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মসজিদে হামলা: হতভাগা পারভীন, ভাগ্যগুণে বেঁচে গেলেন পঙ্গু স্বামী

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৩ PM
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে এলাকার দুই মসজিদে বন্দুকধারী হামলাকারীর হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক হতভাগা স্ত্রী। তার নাম হোসনে আরা (৪২)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মিরেরচর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী।

হোসনার পৈতৃক নিবাস সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। তিনি স্বামী ফরিদ উদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দুই দশকের অধিক সময় ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করে আসছিলেন। শিপা বেগম (১৩) নামে তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সর্বশেষ, ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে তাদের পারিবারিক একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে জুম্মার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের মধ্যাঞ্চল ও শহরতলী লিনউডের দুই মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারী। এ সময় একটি মসজিদে ছিলেন ফরিদ উদ্দিন ও পাশ্ববর্তী নারীদের মসজিদে ছিলেন হোসনা বেগম। পেশায় হোমিও চিকিৎসক ফরিদ প্যারালাইজড হওয়ায় তাকে হুইল চেয়ারে করে অই মসজিদে দিয়ে যান হোসনা। এর প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলাগুলির শব্দ শুনে স্বামীকে বাঁচাতে বের হন তিনি। এ সময় বন্দুকধারী তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

একটি সূত্র জানায়, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত হোসনার স্বামীর বাড়ি বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের উত্তর মিরেরচর গ্রামে সরেজমিন গেলে কথা হয় ফরিদ উদ্দিনের বড়ভাই মঈন উদ্দিনের সাথে।

তিনি জানান, ‘আজ জুম্মার নামাজ পড়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি শুনতে পারি। হোসনার নিহত হবার খবর শুনে শোকবিহব্বল হয়ে পড়েছি আমরা। ফরিদের সাথে আমার ছেলের কথা হয়েছে। তিনি অক্ষত আছেন।’

Bootstrap Image Preview