Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে ৯ লাখ রোহিঙ্গার কোনো ভবিষ্যৎ নেই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৩ AM
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রোহিঙ্গাবিষয়ক আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা ৯ লাখ রোহিঙ্গার কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা চিড়িয়াখানার মতো বাস করছে। শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য নেই। এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে রোহিঙ্গারা। বুধবার তিনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

একই সঙ্গে তিনি কার্যকর প্রত্যর্পণ কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাহসী নারীর পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে পরিকল্পিত অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গণহত্যার মুখে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে যায় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকেই ছিল আরও প্রায় দুই লাখ যারা বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে পালিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তি হলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। রাজিয়া সুলতানা জানান, ‘রোহিঙ্গারা আশাহত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তারা যত সময় ক্যাম্পে থাকবে তাদের অবস্থা আরও খারাপতর হবে। রাজিয়া সুলতানা বলেন, তারা খাবার পাচ্ছে তা ঠিক। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। এটা চিড়িয়াখানার মতো, যেখানে মানুষকে শুধু খাবার এবং বেড়ে ওঠতে দেয়া হয়। কোনো শিক্ষা নেই। কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’

রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া সুলতানার জন্ম মিয়ানমারে। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের আইডব্লিউসিএ পুরস্কারজয়ী ১০ নারীর একজন তিনি।

বিশ্বজুড়ে অনন্য সাহসিকতা ও শান্তির পক্ষে প্রচারণার জন্য নারীদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। রাজিয়া সুলতানা উইম্যান্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে সংগঠন গড়ে তুলেছেন।

২০১৭ সালে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা নারীদের পরামর্শ প্রদান করছে এই সংগঠন। ২০১৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পারিবারিক নির্যাতন রোধ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে সংগঠনটি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণও দেয়।

নারীদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার তুলে ধরে রাজিয়া বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের একটু সুযোগ ও নিরাপত্তা দিন। দেখবেন তারা আপনাকে অবাক করে দেবে।

যখন আমি প্রথম কাজ শুরু করি তখন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মাত্র পাঁচজন মেয়েকে খুব কষ্টে রাজি করিয়েছিলাম। এখন আমাদের রয়েছে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী এবং তারা দারুণ কাজ করছে। তারা আমাকে বাল্যবিয়ে, পারিবারিক নির্যাতন ও পাচারের ঝুঁকির বিষয়ে নিয়মিত অবগত করে।

Bootstrap Image Preview