Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গ্যাসের দাম নিয়ে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিইআরসি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৯ PM
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেছেন, ‘গ্যাসের দাম প্রয়োজনের তুলনায় দাম বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো। তবে কমিশন নিরপেক্ষ ও যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।'  

সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়াতে গণশুনানি শেষ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। আইন অনুযায়ী গণশুনানি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিইআরসির ওপর। রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ওই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

কোম্পানিগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে নিজের মূল্যায়ণ তুলে ধরেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা দেখেছি প্রস্তাব ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। কমিশন প্রকৃতপক্ষে বাড়িয়েছিল ১১ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৯৫ শতাংশ ছিল প্রস্তাব কমিশন বাড়িয়েছিল ১১ শতাংশ। ২০১৮ সালে প্রস্তাব ছিল ৭৫ শতাংশ। কমিশন দাম বাড়ায়নি। এবার দেখছি প্রস্তাব হচ্ছে ১০২ শতাংশ। আমি শুধু এটুকু বলব কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে যৌক্তিকভাবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকই বিবেচনা করবে।’

গ্যাসের মূল্য পরিবর্তনে গণশুনানির শেষ দিনে নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। দুটি সংস্থাই গড়ে ১০২ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। যার মধ্যে সার উৎপাদনে ২১১ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর আবাসিক গ্যাসের ক্ষেত্রে এক চুলা ১ হাজার ৩৫০ ও দুই চুলা ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

সংস্থাগুলোর প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান পেট্রোবাংলার পরিচালক হারুন অর রশিদ।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পেট্রোবাংলা লাভ করার জন্য কমিশনের কাছে আসেনি। এ কথাটা সবার কাছে পরিস্কার করা দরকার। চাহিদা অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার জন্যই পেট্রোবাংলা আবেদন করেছেন আর পেট্রোবাংলার এ আবেদনটি কমিশন বিবেচনা করবেন এটা আশা করব।’

গত কয়েকদিনের মতোই এই গণশুনানি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ভোক্তাদের সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় করা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা মানার কোনো সুযোগ নেই।’

Bootstrap Image Preview