বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পর্ন সিনেমা তৈরি হয় কানাডায়। তবে স্পেন এখন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্মিত ছবি বা পর্ণ সিনেমা নির্মাণে ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। এখানকার সমুদ্র সৈকতগুলোতে অন্য পর্যটকদের চোখের সামনে এসব ছবির শুটিং করে চলেছেন প্রযোজকরা। পর্ণ শিল্পে সুপরিচিত নাম প্রযোজক থিয়েরি কেমাচো। তিনি আউটডোরে এমন ছবি করা নিয়ে বলেছেন, ‘স্পেনে এসব ছবি বা দৃশ্য দেখে মানুষ অভ্যস্ত। এতে কোনো সমস্যা নেই।’
তাই স্পেন ধীরে ধীরে পর্ণ ছবির রাজধানী হয়ে উঠছে। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে।
বৃটেনে অবশ্য ‘লাভ আইল্যান্ড’ নামে একটি টিভি শো পরিচালিত হয়, যেখানে যৌনতাই প্রাধান্য পায়। অবাধে সেখানে মেলামেশার সুযোগ দেয়া হয় নারী-পুরুষদের। আর তা নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সচিত্র প্রতিবেদন। এ ছাড়া তো অনলাইনে আছেই পর্ণ ছবি।
তবে বিবিসি ৩-এর জন্য ‘পর্ণ লেইড বেয়ার’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি বানাতে স্পেনে সফর করেছেন বৃটেনের ৬ তরুণের একটি দল। তারা চেয়েছেন স্পেনের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে বিকশিত হচ্ছে তা তুলে ধরতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে তারা শুনতে পেয়েছেন মানব পাচার, জোরপূর্বক মাদক সেবন ও সহিংসতার কাহিনী। তারা প্রত্যক্ষ করেছেন একজন রাশিয়ান যুবতীকে। তিনি শুটিংয়ের সেটে ২০ জন পুরুষের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে অপেক্ষায় ছিলেন।
বৃটিশ এই তরুণ দলে ছিলেন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক নীলম টেলর (২৪), রায়ান স্কারবরো (২৮), শিক্ষার্থী আনা এডামস (২৩) এবং গ্রুপের সবচেয়ে কম বয়সী ক্যামেরন ডালি (২১)। তারা যখন স্পেনের একটি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে যান সেখানে তাদের থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে দেখতে পান পর্ণে ছবির শুটিং হচ্ছে। অভিনেত্রী, অভিনেতাকে পাঠ বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপর তারা কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মেতে উঠছেন পর্ণ ছবির শুটিংয়ে।
এ বিষয়ে নীলম বলেছেন, এর আগে আমরা কেউই পর্ণ ছবির শুটিংয়ে যাইনি। কিন্তু যে দৃশ্য দেখেছি তাতে আমরা অতলে হারিয়ে গিয়েছি। আমাদেরকে দেখতে হয়েছে ওই পর্ণ ছবির নায়ক, নায়িকাদের। তারা সমুদ্র সৈকতে মেতে উঠছেন অবাধ যৌনাচারে। আর আমাদেরকে তা দেখতে হয়েছে। এটা আমাদের কাছে বড় এক হতাশার বিষয় ছিল।
পর্ণ ছবির এক পরিচালক রব ডিজেল বলেছেন, তিনি নিজের দেশ সুইডেন থেকে স্পেনে গিয়েছেন। কারণ, সেখানকার নিয়মনীতি উদার। তিনি পর্ণ ছবির যে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন গত বছর তা ভিজিট করেছেন ৭৬০ কোটি দর্শক। এতে তার আয় হয়েছে ৬৯ লাখ পাউন্ড। তার মতে, স্পেন হলো বহু শত কোটি পাউন্ডের পর্ণ ছবির ইন্ডাস্ট্রি। এখানে পর্ণ তারকাকে দেখা হয় শিল্পী হিসেবে। এটাকে এখানে পেশা বা কর্মসংস্থান হিসেবে দেখা হয়।