সুনামগঞ্জে তারিফ হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচাররক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামের নোয়াব আলী (৭০), তার সহোদর কাঁচা মিয়া (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের বাছা মিয়া (৫৫) ও তার সহোদর ভাই ফটিক মিয়া (৪৮)।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন জগন্নাথপুরের খাশিলা গ্রামের মৃত আব্দুল শুকুরের ছেলে কাহার মিয়া (৪৫)।
মামলার রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াব আলী ও বাছা মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কাচা মিয়া ও ফটিক মিয়া পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৬ নভেম্বর রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জগন্নাথপুরের খালিজা গ্রামে অভিযুক্ত আসামিরা তারিফ মিয়ার বসতঘরে ডুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় পরদিন ১৭ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম নোয়াব আলী, কাচা মিয়া, বাছা মিয়া, ফটিক মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামরা দায়ের করেন।
২০০০ সালের ১৭ মে থানা পুলিশ ওই মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তোরন মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুছকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মঙ্গলবার নোয়াব আলী, কাচা মিয়া, বাছা মিয়া ও ফটিক মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা ও অ্যাডভোটে ফজলে আমিন।