Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমি মেয়েটির পেটে চিমটি মেরেছিলাম, বললেন শিক্ষক

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৪ PM
আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৫ PM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পাটগাও নব্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লেহেম্বা ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১১ মার্চ) স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয় ঘেরাও করে কক্ষে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটগাঁও নব্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ধন সিংহ রায় ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রায় সময় ক্লাসের ফাঁকে শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করে আসছিল। সম্প্রতি ঘটনাটি পরিবারের লোকজনের মাঝে জানাজানি হলে অভিভাবক মহল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে বিচার দাবি করে।

এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মন্টু রায় ও প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর রায় শিক্ষার্থীর অভিভাবককে নিয়ে সবার অগোচরে আপোষ মিমাংসায় বসে বিষয়টি অনাখাঙ্খিত বলে অভিযুক্ত শিক্ষককে ভুল স্বীকার করায়। আর এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীদের শিক্ষকের পক্ষে সাফাই দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বর্তমানে ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে তার বিরুদ্বে অভিযোগ উঠেছে।

শ্লীলতাহানির স্বীকার শিক্ষার্থীর মা সোহরাব আলী’র স্ত্রী বলেন, আমার মেয়েকে আর স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছি না। কিন্তু মেম্বার সাহেব বলেছে মেয়েটাকে তো বিয়ে দিতে হবে, তাই কলঙ্ক রটানো যাবে না, স্কুলে পাঠাও আর কিছু হবে না।

এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি বি পি এড পরীক্ষার কারণে সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী বলেন, সাংবাদিক ভাই আপনি চা খরচের জন্য কিছু রাখেন। বিষয়টি তেমন কিছু না তাছাড়া ঘটনাটি সমাধান হয়ে গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ধনসিং রায় বলেন, আমি মেয়েটিকে হাত দিয়ে পেটে চিমটি মেরেছিলাম, তাই তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। তাছাড়া বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহেব সমাধান করে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোকছুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।

Bootstrap Image Preview