নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা মানে শান্তি। এই পায়রা আমাদের শুধু মানষিক শান্তি নয়, পায়রা বন্দর আমাদেরকে অর্থনৈতিক শান্তি দেবে।
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
পায়রা বন্দরের মাষ্টারপ্ল্যান প্রনয়নের জন্য সমিক্ষা কাযক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিততে স্টেকহোল্ডারস কর্মশালা আয়োজন করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কর্মশালা চলাকালীন সময়ে পায়রা বন্দর কেন্দ্রীক স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তথ্যা আদান প্রদন করা হয়।
এসময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, পায়রা শুধু বন্দর নয়, এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পুরো সৌন্দর্যটাই ধারণ করে আছে। পায়রা বন্দরের মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন হলে অবশ্যই আমাদের দেশের একটি বিরাট ভূমিকা রাখবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্রগ্রাম ও মংলা বন্দরের বাৎসরিক আয় প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার মুল্যের আমদানি রফতানি হয়। দুটি বন্দরের নব্যতা স্বল্প হওয়ায় বৃহৎ আকারে জাহাজের পরির্বতে ছোট আকারের কার্গো জাহাজের মাধ্যামে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য বাড়তি ব্যয় করতে হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে অধিক মাত্রায় জাহাজ জটের কারণে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় বন্দরের সক্ষমতার ক্ষেত্রে আন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। ফলে নতুন সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৩ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে 'পায়রা বন্দর কতৃপক্ষ আইন ১৩ ' গঠন করা হয়। ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার রানাবাদ চ্যানেলে পায়রা বন্দর নামে দেশের ৩য় সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করা হয়। যা বর্তমানে ১০টি 'ফাস্ট ট্রাক' ভুক্ত প্রকল্প।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মহিববুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ ও সহরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ স্টেকহোল্ডারগণ।