রাজধানীর সদরঘাটে সুরভি-৭ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকায় থাকা একই পরিবারের নিখোঁজ ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের লাশ বুদ্ধার হয়েছে।
আজ শুক্রবার ও শনিবার ৫ জনের মরদেহ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন গৃহবধূ শাহিদা।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরণনগর জাফর আলী মালকান্দি গ্রামের কামাল চোকদারের মেয়ে খাদিজা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল স্বজনদের।
অনুষ্ঠানে আসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে বোন জামশেদা বেগম (২৫), তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন প্রধানিয়া (৩৫), সাত মাস বয়সি শিশু জোনায়েদকে নিয়ে চাচাতো ভাই শাহজালাল চোকদার (৩৫), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৫), মেয়ে মিম (৬) ও মাহি (৪) বের হয়। রাতে তাদের বহনকারী ডিঙ্গি নৌকাটি লঞ্চের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় আহত অবস্থায় শাহজালাল চোকদারকে উদ্ধার করা হলেও বাকি ছয়জন নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায়। শুক্রবার জামশেদার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার হলে গ্রামে এনে তাকে দাফন করা হয়।
শনিবার দুপুরে আরও ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও তাদের লাশের অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনেরা। নিখোঁজ রয়েছেন শাহিদা নামে আরও একজন। তাদের গ্রামের বাড়িতে চলছে স্বজনদের শোকের মাতম।
দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজালাল মাল ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, যারা নদীতে নিখোঁজ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সকলেই আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিখোঁজের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে শাহজালাল তার পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে নৌকায় চড়ে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন। সদরঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে সুরভী-৭ লঞ্চের পেছন দিকের ধাক্কায় তাদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের পেছনে থাকা পাখার আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হতাহতরা শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জের দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরণনগর জাফর আলী মালকান্দি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাদের শরীয়তপুরের লঞ্চে ওঠার কথা ছিল।