Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাজশাহীতে পৌর মেয়রসহ আটক ১১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৫৮ PM
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আগামীকাল রবিবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে পৌর ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। আটক অন্যরা হলেন- দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও আওয়ামী লীগ কর্মী সাকিল আহম্মেদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব বলেন, আটকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদের সমর্থক। ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনা করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভায় গোপন বৈঠক করছিলেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে তার নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কাউছার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমার ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেয়া হয়। আদালত প্রত্যেককে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আটকদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে।

তবে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার। তিনি বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে ঘরোয়া বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ তার কিছু সমর্থক। কিন্তু প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়ায় তাদের আটক করেছে। দলীয় প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর উপজেলায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। নৌকা না পাওয়ায় ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরদার।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনয় কুমার, আব্দুল মোতালেব, বেলাল হোসেন ও রেজাউল করিম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম, সাহিদা বিবি, জলিদা বেগম ও শারমিন আহম্মেদ রয়েছেন ভোটের মাঠে।

Bootstrap Image Preview