রাস্তার গর্তে পড়ে নাজেহাল অবস্থা পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে পাথরের মাঝে সৃষ্টি হওয়া গর্তে নদীর জল জমে যে অপরূপ শোভা দেখা দেয়, তার টানে ছুটে আসেন অনেক পর্যটক।
এমনই অবস্থা দেখা যায় ভারতের পুনে থেকে মাত্র ৯০ কিমি এবং মুম্বই থেকে ২২৭ কিমি দূরে কুকাড়ি নদীর বুকে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়েছে ‘নিঘোজ পটহোল্স’। হাজার হাজার বছর ধরে তৈরি হওয়া প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টির গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এখানে সারা বিশ্বের ভূতত্ববিদরা ভিড় করেন। মূলত নদীর জলধারার ধাক্কায় ব্যাসাল্ট পাথর ক্ষয়ে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্তগুলি। কুকাড়ি নদীর দুই পারেই দেখা যায় প্রকৃতির এই নিজস্ব ভাস্বকর্য। অপরূপ প্রাকৃতিক ভাস্কর্য।
এখানকার নিঘোজ গ্রামের আশপাশে দূষণের কোনও চিহ্ন নেই। সবুজের মাঝে গ্রামের বং-বেরঙের বাড়িগুলি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। খিদে পেলে হানা দেওয়া যায় নদীতীরের ফুড স্টলগুলিতে। রয়েছে ধাবার ধাঁচে বেশ কয়েকটি ভোজনশালা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য আছে কিছু মন্দিরও। আর দেখা যায় একাধিক প্রজাতির পাখি।
জলস্তর নামলেই জেগে ওঠে প্রকৃতির শিল্পকীর্তি। নিঘোজে বেড়াতে আসার সেরা সময় মার্চ থেকে জুন মাস। এই সময় নদীর জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাথরের উপর জেগে ওঠে পটহোল্সের সারি। জল শুকিয়ে গিয়ে গর্তগুলির তলদেশ পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়।
ভারতের পুনে থেকে এখানে আসতে হলে আড়াই ঘণ্টার মোটরপথ ধরতে হবে। আর যারা মুম্বই থেকে আসতে চান, তাদের পাড়ি দিতে হবে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টায় ২২৭ কিমি পথ।