ভারতের মধ্যপ্রদেশে প্রচুর আফিম উৎপাদন হয়। কিন্তু টিয়া পাখি সেই আফিম চাষে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কোনোভাবেই চতুর টিয়া পাখিদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। তাই চাষীরা টিয়া পাখির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
চাষীদের ভাস্যমতে, ঝাঁকে ঝাঁকে দল বেঁধে টিয়ার দল উড়ে আসে পপি ক্ষেতে। ধারালো ঠোঁট দিয়ে ছোঁ ছিড়ে নিয়ে যায় পপি ফুল।
একটি পপি ফুল থেকে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম আফিম পাওয়া যায়। কিন্তু টিয়ার পাখির দল দিনে ৩০ থেকে ৪০ বার এসে ফুল খেয়ে যাচ্ছে। কোন কোন সময় ধারালো ঠোঁট দিয়ে পপির কলি নিয়েও উড়ে যাচ্ছে।
চাষীদের এই পপি ফুল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এখন তারা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত আফিমের লোকসান ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছেন। এ কাজে জন্য তাদের লাইসেন্সও রয়েছে।
কয়েকজন চাষী দাবি করে বলেন, 'টিয়া পাখিদের যন্ত্রণায় আমরা খুবই অতিষ্ঠ। তারা দিন-রাত ফসলের ক্ষতি করছে। ফসল রক্ষায় আগুন জ্বালিয়ে পরিবারের সবাই মিলে পাহারা দিতে হয়।'
একটি পপি ফুল থেকে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম আফিম পাওয়া যায়। কিন্তু টিয়ার পাখির দল দিনে ৩০ থেকে ৪০ বার এসে ফুল খেয়ে যাচ্ছে। কোন কোন সময় ধারালো ঠোঁট দিয়ে পপির কলি নিয়েও উড়ে যাচ্ছে। লোকসানের আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন চাষিরা।
বিশেজ্ঞদের মতো, এই আফিম টিয়া পাখিদের চাঙ্গা করে তোলে। যেমনটি মানুষের ক্ষেত্রে ঘটে - বলবর্ধক পানীয় বা ওষুধ খাওয়ার পর।