Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে: তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৯ PM
আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। বাংলাদেশ রাষ্ট্র তৈরি করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে এসেছেন। একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

মন্ত্রী আজ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনতায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্‌ফ উদ্দিন।

মন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য সংগঠনের প্রয়োজন। তাই তিনি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি বলেন, কাশ্মীর, স্পেনের কাতালোনিয়ায় বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলন এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আন্দোলন কোনটিই সফলতা পাচ্ছে না। কারণ সে সকল দেশে একজন শেখ মুজিব তৈরি হয়নি।

জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত  হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (ITU) সদস্য পদ লাভ করে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না- এটা জাতির পিতা যথাযথভাবে সে সময়ই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এ জন্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পরেই তথ্য প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপকেন্দ্র স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। যার সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি বলেন, আমরা ৩টি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মিস করতে চাই না। ভবিষ্যৎ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পদাংক অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে মন্ত্রী ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এটুআই এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় সরকারি দপ্তরসমূহের প্রতিনিধি ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, একসেবা-সরকার প্রণীত নীতিমালা ও ধারণাসমূহ একটি টেকসই দেশিয় সফটওয়্যার উন্নয়ন ব্যবস্থা এবং উন্নত ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি জাতীয় স্বার্থে এটুআই, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকার সম্মিলিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আইসিটি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview