Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লক্ষ্মীপুরে জরাজীর্ণ বেইলি সেতু, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০২:৪৪ PM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


রহমতখালি নদীর উপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ তেরবেকী বেইলি সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সেতুটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ ও বহু যানবাহন। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রহমতখালি নদীর উপর ১৯৯০ সালে ৫৭ মিটারের তেরবেকী বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল সড়কের সঙ্গে পৌর শহরের প্রধান সংযোগ সড়কের শুরুতেই অবস্থিত এই সেতুটি। 

সেতুটিতে শহরমুখী মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার টুমচর, চররুহিতা, শাকচর, চর রমনী ও কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নসহ প্রায় ৩০ টি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিছু দূরে সড়ক থাকলেও লক্ষ্মীপর সরকারি কলেজসহ অন্তত ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুবিধাজনক হওয়ায় চাপ থাকে এই বেইলি সেতুর উপর।

এদিকে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুটির অনেক স্থানে স্লাব দেবে গেছে। আবার বহু স্থানে স্লাব ভেঙে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থী, কর্মমুখী মানুষ ও এলাকার হাজারো বাসিন্দা এবং যানবাহন। এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। যানবাহনের চাপে কাঁপছে সেতুটি।

বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আগে দ্রুত ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে, দীর্ঘদিন আগে ওই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভারি যানবহান চলাচল করতে সতর্কতামূলক একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

একইভাবে জেলার রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের মণ্ডলতলী বেইলি সেতু, মান্দারী-দাসের হাট সংযোগ সড়কের মান্দারী পূর্ব বাজার সেতু ও দাসেরহাট-মান্দারী সড়কের দিঘলী সেতুটিও দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।

লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর কথা স্বীকার করে নতুন ৪টি সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান। অনুমোদন পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ আগামি বছরে কাজ শুরু করা হতে পারে বলে জানান তিনি।  

Bootstrap Image Preview