Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আজ একনেকে উঠছে ৬ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১১:৪২ AM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১১:৪২ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর পার্শ্ববর্তী অনুন্নত ৮ এলাকা উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এ লক্ষ্যে আজ ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৫১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে ‘ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট’ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু এলাকার টেকসই উন্নয়ন করা হবে। আর কামরাঙ্গীরচরের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। সুতরাং এটিকে শুধু প্রস্তুতিমূলক প্রকল্প বলা যায় না।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৯টি প্রকল্পের পাশাপাশি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাঘাট উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হবে। সাধারণত তালিকায় যেসব প্রকল্প থাকে সেগুলো বাদ দেয়া হয় না। ঢাকা সিটির পার্শ্ববর্তী উন্নয়ন প্রকল্পটি তালিকার ৭ নম্বরে রয়েছে।

একনেকে উঠতে যাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। এছাড়া বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে ডেমরায় ফ্যাক্টরি স্থাপনে ব্যয় ১৮৩ কোটি টাকা।

তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়নে ব্যয় ১৫৮ কোটি টাকা। কন্দাল ফসল উন্নয়নে ব্যয় ১৫৬ কোটি টাকা। জয়পুরহাট জেলার তুলসীগঙ্গা, ছোট যমুনা, চিড়ি ওহারাবর্তী নদী পুনর্বাসনে ব্যয় ১২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

উপজেলা-ইউনিয়ন ও জেলা সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ, ব্যয় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার, ব্যয় ২৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন, ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা।

ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্টটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৮০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে সেগুলো হচ্ছে, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর, গুলিস্তান, খিলগাঁও, মুগদা ও বাসাবো।

এসব এলাকার নাগরিক সেবার মান বাড়ানো, উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট উন্নয়ন, পার্ক-খেলার মাঠ-কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক মোট ব্যয়ের মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা রয়েছে ৮৩৪ কোটি টাকা। তবে প্রকৃত ব্যয় নির্ধারণ করা হবে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে। 

প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। এ কারণে নগর জীবনের প্রত্যহিক প্রয়োজনীয় উপকরণ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪০ বছরে জনসংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্বের ১১তম বড় শহর। ২০৩০ সাল নাগাদ এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ শহরে পরিণত হবে। যার জনসংখ্যা থাকবে প্রায় ২৭ মিলিয়ন। প্রতি হেক্টরে বর্তমানে বসবাস করছে ৪৪০ জন।

এ প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি তৈরি করার ক্ষেত্রে ছোট আকারের এলাকা নির্বাচনের পরিবর্তে পাশাপাশি অবস্থিত বৃহৎ আকারের এলাকা উন্নয়নের ধারণার ভিত্তিতে নেইবারহুডের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীন এরকম প্রতিবেশী এলাকা চিহ্নিত করে প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন এবং সুপারভিশন খাতে ৪৪ কোটি টাকার প্রস্তাব রয়েছে। এক্ষেত্রে একই রকম কাজের জন্য প্রকল্পের একটি অংশের জন্য আলাদা পারামর্শক খাতে এত বরাদ্দ যৌক্তিক নয় বলে মত দেয়া হয়েছে।

এছাড়া এওয়ারনেস ক্যাম্পেইন ফর নেইবারহুড শীর্ষক পরামর্শক সেবা খাতে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত কাজের অংশ হওয়ায় এ ব্যয় বাদ দিতে বলা হয়েছে। ফিজিবিলিট অ্যান্ড কন্সেপচুয়াল ডিজাইন ফর গুলিস্তান মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সেন্টারের জন্য পরামর্শক খাতে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার প্রস্তাব রয়েছে।

এটি প্রয়োজন নেই বলে মত দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প প্রস্তাবে নতুন ১৮টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য ৩৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রস্তাব রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারের জন্য ১৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রাক্কলন রয়েছে। এ ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে কীভাবে এ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview