Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আসন্ন ডাকসু নির্বাচন: জনসংযোগ করছেন নারী প্রার্থীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৩:১১ PM
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৩:১১ PM

bdmorning Image Preview


ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি প্রায় তিন দশক হতে চলল। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডাকসু এবং হল সংসদের বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা  জনসংযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই পথে সমানতালে এগিয়ে রয়েছেন নারী প্রার্থীরাও। ছাত্র হলগুলোর পাশাপাশি ছাত্রী হলগুলোতেও চলছে নির্বাচনী আমেজ। ভোটারদের কাছে গিয়ে নিজেদের প্যানেলের জন্য ভোট চাইছেন তারা। ভোটে জিতলে ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে সাজাবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কি করবেন তা উল্লেখ করে ভোটারদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করছেন তারা।

এবারে ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে আবাসিক হলগুলোর নোটিশ বোর্ড এবং ডাকসুর ওয়েবসাইটে এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ছাত্রী হলগুলোতে বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া প্যানেলের বাইরে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের বিভিন্ন পদে প্রার্থীতা করছেন ২৫ জন নারী শিক্ষার্থী। মোট ২২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম বলে মনে করছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত নারী প্রার্থীরা নিজ নিজ দলীয় ইশতেহার অনুযায়ি আশ্বাস দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র নারী প্রার্থীরাও শিক্ষার্থীদের ভোট পাওয়ার জন্য দিচ্ছেন নানা অঙ্গীকার। নারী প্রার্থীদের মধ্যে সবচাইতে বেশি রয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলে।

হল সংসদ এবং কেন্দ্রীয় সংসদ মিলে ছাত্রলীগের প্যানেলে নারী প্রার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ২৫ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের মধ্যে ছয়টি পদে নারী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিমা অর্ণি এবং সদস্য পদে রয়েছেন সাবরিনা ইতি, ফরিদা পারভিন, নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার।

এর বাইরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদের সহ-সভাপতি পদে কোহিনুর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সারা বিনতে জাহান, রোকেয়া হল সংসদের সহ-সভাপতি পদে ইশরাত জাহান তন্নী ও সাধারণ সম্পাদক পদে সায়মা প্রমি, শামসুন্নাহার হল সংসদের সহ-সভাপতি পদে জেসমিন শান্তা ও সাধারণ সম্পাদক পদে উম্মে আরাফাত জাহান লাকি, সুফিয়া কামাল হল সংসদের সহ-সভাপতি পদে ইসরাত জাহান ইভা ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার সুলতানা নদী, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের সহ-সভাপতি পদে রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাওলীন জাহান সেজুতি ছাত্রলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং গত কয়েকবছরে ক্যাম্পাসে নিজেদের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলে ভোট চাইছেন। এর বাইরে মেয়েদের হলগুলোর জন্য অতিরিক্ত বাস নিশ্চিতকরণ, কমনরুম এবং ক্যাফেটেরিয়ায় উন্নত পরিবেশ তৈরি, মেয়েদের হলগুলোতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে আসন বন্টন এবং হলগুলোর অভ্যন্তরীন পরিবেশ উন্নত করবেন বলে শিক্ষার্থীদের কাছে অঙ্গীকার করছেন।

অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের প্যানেলে নারী প্রার্থী আছেন মাত্র একজন। তিনি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কানেতা ইয়া লাম-লাম। তিনি ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের কমনরুম এবং ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন।

এ বিষয়ে কানেতা ইয়া লাম-লাম বলেন, 'আমার বাবা ডাকসুর সাবেক সম্পাদক ও সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার দেখানো পথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সমর্থন পাবো বলে আশা করছি। আমার ওপর ভরসা করে আমাকে এই পদে মনোনয়ন দেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।'

এর বাইরে নারী হলগুলোতে ছাত্রদল প্যানেল দিয়েছে শুধুমাত্র শামসুন নাহার হলে। 

কোটা আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য প্রার্থী হয়েছেন শেখ এমিলি জামাল ও উম্মে কুলসুম বন্যা। ছাত্র মুক্তিজোটের প্যানেলে কেন্দ্রীয় সংসদের কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুমাইয়া ইয়াসমিন স্মৃতি, সমাজসেবা সম্পাদক নওরিন আক্তার নিশাত, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে জাকিয়া সুলতানা এবং সদস্য পদে মোছা. রহিমা খাতুন সাদিয়া আফরিন তৃষ্ণা।

এছাড়া স্বতন্ত্রজোটের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অরণি সেমন্তি খান, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে শ্রবণা শফিক এবং সদস্য নহলি নাফিসা খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে শামসুন নাহার হলে স্বতন্ত্রভাবে সহ-সভাপতি পাদে লড়ছেন শেখ আফরোজা ইমি।

এসব প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা নির্বাচিত হলে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন। এছাড়া নারী হলের শিক্ষার্থীদেরকে দলীয় রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্তি দিতে চান বলে স্বতন্ত্রজোটের প্রার্থীরা জানান।

 

রোকেয়া হল সংসদে 'সংস্কৃতি সম্পাদক' পদ প্রার্থী তাসলিমা হোসেন নদী থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। 
তিনি বলেন, "আমি প্রচারণায় গিয়ে সবাইকে একটি কথায় বলেছি যে আমাকে যোগ্য মনে হলেই কেবল ভোট দিবেন। যারা আমাকে চিনেন তাদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই কারণ 'আমি অতটুকুই আমি যতটুকু আমি।' আর যারা চিনেন না তাদের বলেছি একবার সুযোগ দিয়েই দেখেন না কি হয়!" 

প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরের বছর যাত্রা শুরু করে ডাকসু। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ডাকসু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা ছিলেন অগ্রভাগে। স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের পর বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেই নির্বাচন আর হয়নি। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ২৮ বছর পর হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু নির্বাচন।

ডাকসুর পূর্ণরূপ-

Dhaka University Central Students' Union (DUCSU)। বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি বড় ঘটনা হল ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ। এ দুই মহান অর্জনসহ দেশের রাজনীতিতে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে, সন্দেহাতীতভাবে তা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পৃক্ততার কারণ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতি-রাজনীতি সচেতনতা। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময়ে এক টাকা চাঁদা দিয়ে এর সদস্য হতে হতো ছাত্রদের। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে এর যাত্রা শুরু হলেও সূচনালগ্ন থেকেই অবধারিতভাবে এটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন তিনটি হলের (ঢাকা হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হল) প্রতিটি থেকে উপাচার্য মনোনীত একজন শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে সংসদ গঠিত হতো। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীকালে তা নির্বাহী পরিষদে অনুমোদিত হয়ে কার্যকর হয়। ১৯৫৩ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ রাখা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাননীয় উপাচার্যকে ডাকসুর সভাপতি হিসেবে রাখা হয়। ওই বছরই প্রথম সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যকে সভাপতি ও একজন শিক্ষককে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে রেখে ১৬ জন ছাত্র প্রতিনিধি ও ১০ জন কর্মকর্তা নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৭০ সালে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এ পর্যন্ত মোট সাতবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ভিপি ও জিএস ছিলেন যথাক্রমে মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। প্রথম নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এসএ বারী। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত প্রথম ভিপি ছিলেন শ্যামা প্রসাদ ঘোষ ও জিএস ছিলেন কেএম ওবায়েদুর রহমান (১৯৬২-৬৩)।

ডাকসুর অবদান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ছিল সবসময়ই। দেশের সব সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসে সাহসে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশপ্রেমের শিক্ষা তারা এ অঙ্গনে পা রাখার ক্ষণ থেকেই গ্রহণ করে নেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের অবদানকে বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাসই সম্পূর্ণ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যে কোনো সংকটে এ ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ভিত্তি ছিল ডাকসু। সরল অথচ একান্ত সত্য কথা হল, ডাকসু ছিল ছাত্রদের প্রাণের সংগঠন। রাজনীতিতে এ সংগঠনের অবদান ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯, ’৭১- সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের তথা ডাকসুর অবদান। ইতিহাসে এসব অবদানের কথা স্বীকৃত। কিন্তু এর পাশাপাশি সাধারণ ছাত্রদের নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজন মেটাতে ডাকসু যে ছাত্রদের আস্থার প্রতীক ছিল, সে কথা হয়তো ইতিহাসে লেখা নেই। তবে এ অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্বীকার করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। ডাকসু ছাত্রদের যে কোনো প্রয়োজনে, দেশের যে কোনো সংকটে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে এ ছাত্ররাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। প্রতিবাদের সূচনা হয়েছিল এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। ডাকসু সক্রিয় থাকলে এই কৃতিত্বও তারই হতো। ডাকসু সচল থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো অরাজকতা হয়তো সৃষ্টি হতে পারত না। সাধারণ ছাত্রদের এত ভোগান্তি হতো না। উপাচার্য মহোদয় ছাত্রদের কথা চিন্তা করে তাই ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন।

Bootstrap Image Preview