Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভোলায় আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৫ PM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৫ PM

bdmorning Image Preview


ভোলা শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির এলপি গ্যাসের গুদাম থাকার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। কখন জানি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ঢাকার চকবাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মনে ধারণাটা আরো বেশি হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোলার পৌর এলাকার কিছু কিছু এলাকায় এলপি গ্যাস, ওয়েলডিং ব্যবসায়ীদের গ্যাস এবং হাসপাতালের ছোট-বড় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম রয়েছে। ওই গুদামের কাছেই রয়েছে আসাসিক এলাকার ঘন বসতি। তাই যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  
ভোলা পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডে মোসলমান পাড়ার রোড দিয়ে প্রবেশ করতেই এসএ টাওয়ারের পশ্চিম পাশে বড় একটি গ্যাসের গুদাম রয়েছে।

এসএ টাওয়ারের মালিক সাহিন চৌধুরী বলেন, এই সিলিন্ডারগুলোর কারণে আমরা ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। যেমন হয় শব্দ, তেমনি ভয়ে থাকি নানা দুর্ঘটনার। আমি চাই সরকার এসব সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের গুদামগুলো যেন জনশূন্য এলাকায় হস্তান্তর করা হোক।

ভোলা পৌর সভার দরগাহ ও হেলিপ্যাড রোড এলাকার চিত্র ভিন্ন। সেখানে ঘন বসতি এলাকায় বড় বড় ট্রাক থেকে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারগুলো যেভাবে গাড়ী থেকে নামানো হয় তাতে বিকট শব্দে মাটিসহ এলাকা কেপে উঠে। গাড়ী থেকে নামানের সময় এক সিলি-ার আরেকটি সিলি-ারের উপর গিয়ে পড়ে। তখনই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

অন্যদিকে এলপি গ্যাসের ব্যবসায়ীরা মানছেন না কোন নিয়মনীতি। ডিলাররা লাইসেন্স ছাড়াই বিভিন্ন স্টেশনারী, মুদি, টিনের দোকান, রড-সিমেন্টের দোকান এবং অনেক ফার্মেসিতেও গ্যাসের সিলি-ার বিক্রি করছেন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্ঘটনা এড়ানোর মত কোন ব্যবস্থা নেই। তাই সাধারণ মানুষের জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

অপরদিকে এলপি গ্যাস ব্যবসায়ীরা বলেন ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ডিলাররা বলেন, আমরা আইন মেনে বিশেষ করে বিষ্ফোরক লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা ও গুদামজাত করছি। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিষ্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে। তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাগজ-পত্র আছে কি না এমন পশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেন নি।

ভোলা জেলা বেলা’র সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, কোথায় কোথায় গুদাম আছে তা চিহ্নিত করা হবে এবং বিষ্ফোরক লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাগজ-পত্র নেই তাদেরকেও সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করবো।   

গ্যাস ব্যবসায়ী বা গুদাম ব্যবহারকারীরা আইন অনুযায়ী ব্যবসা করছে কি না তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।

Bootstrap Image Preview