আর্চারিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্বর্ণ পদক আনলেন নীলফামারীর মেয়ে দিয়া সিদ্দিকী। গত মঙ্গলবার টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে এককের ইভেন্টে শোজামেহের শিভাকে ৩-২ সেটে পরাজিত করেন দিয়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিয়া সিদ্দিকীর দুইভাই। সে পরিবারের এক মাত্র মেয়ে এবং পরিবারের মধ্যে সে বড়। বাবা বাংলাভিশন টিভির জেলা প্রতিনিধি ও জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নূর আলম সিদ্দিকী। দিয়া সিদ্দিকী শিক্ষা জীবনে আনন্দ নিকেতন মডেল স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে এবং নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত ছিল। পরে ২০১৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে।
দিয়া সিদ্দিকী মুঠো ফোনে বলেন, আমি নিজেও বুঝতে পারিনি এভাবে আর্চারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ব। ভাগ্যে থাকলে যা হয় আর কি। হঠাৎ করেই আর্চারিতে এসেছি। নীলফামারী গার্লস হাই স্কুলে পড়ার সময় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক খায়রুল ইসলাম আমার উচ্চতা দেখে আর্চারিতে আসতে বললেন। ওখানে ট্রায়ালেটি করলাম। এর পর ১০দিনের অনুশীলন করে বিকেএসপিতে এসে ট্রায়ালে টিকে গেলাম।
ভর্তি হলাম অষ্টম শ্রেণিতে। এর আগে কোনো দিন কোনো সোনার পদক জিতি নাই। তাই অনেক ভালো লাগছে। এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। ফাইনালে খেলতে নামার আগে একটু ভয় করছিল। মনে হচ্ছিল পারব কিনা। শরীর কাঁপছিল। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক গেম। ইরানের প্রতিযোগীও কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল।তবে অনুশীলনে আমি ভালো করেছিলাম। তাই আত্মবিশ্বাসও ছিল ভালো করার।
দিয়া সিদ্দিকীর এই অর্জনের বিষয়ে তার বাবা সাংবাদিক নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, দিয়ার এই অর্জনে আমরা গর্বিত। আর নীলফামারীর মেয়ের এই স্বর্ণ পদক অর্জন নীলফামারী বাসীর জন্য গর্বের বিষয়।তিনি বিকেএসপি ও আর্চার ফেডারেশন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তার বাবা আরো জানান, বিষয়টি অনেকের অজানা থাকলেও আজ বিভিন্ন পত্র পত্রিকার খেলার পাতায় দিয়ার ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হলে সবাই জানতে পারে।