পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা গলিতে নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন ভোলার দৌলতখানের শাহবুদ্দিন (৩২)। তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীর চর কামরুল মিয়ার অটোরিক্সা গ্যারেজ থেকে রিক্সা নিয়ে ভাড়ায় চালাতেন। বর্তমানে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। একজন সদালাপী, পরিশ্রমী শাহাবুদ্দিনের অকাল মৃত্যুকে সহজে মেনে নিতে পারছে না এলাকার মানুষ।
কামরুল মিয়ার গ্রেজ মিস্ত্রি জলিল জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শাহবুদ্দিন বুধবার রাত ৮ টায় গ্যারেজ থেকে তার অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। পরদিন সকালে নির্দিষ্ট সময় গ্যারেজে রিক্সা নিয়ে শাহাবুদ্দিন ফেরৎ না আসায় তার মোবাইলে একাধিক কল করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয় স্বজন ঢাকা মেডিকেলে গিয়েও লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। তবে আগুনে পোড়া চকবাজার রাস্তায় ধ্বংস স্তুপে শাহাবুদ্দিনের রিক্সার নাম্বার প্লেটের কিছু নমুনা দেখে ওই গ্যারেজের লোকজন পুড়ে যাওয়া রিক্সা সনাক্ত করে। পরিবারের এখন ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশ সনাক্ত করাই একমাত্র ভরশা।
শাহবুদ্দিনের স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন, আমার ছোট তিন সন্তান নিয়ে এখন আমি নিরুপায়। এই সন্তান নিয়ে আমি কোথায় যাবো। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমি অন্তত আমার স্বামীর লাশটি যেন শনাক্ত করতে পারি।
এই বিষয় মধ্যজয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত লাশের কোন সন্ধান মিলেনি। তবে শাহাবুদ্দিনের সকল কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।