Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বি চৌধুরীর অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন মাহি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৮ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী বলেছেন, এই সংসদে আমার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। একতরফভাবে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিষদগার করা হয়েছি। অন্যায়ভাবে তাকে অপসারণ করা হয়েছিল।

রবিবার ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, পিতাকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে পুত্রকে জল্লাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি তখন এই সংসদের সদস্য ছিলাম। বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি একজন পরলোকগত রাষ্ট্রপতির (জিয়াউর রহমান) কবরে জিয়ারত করতে যাননি, আর এ কারণে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মাত্র ৭ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

মাহি বি চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় আমি তাকে স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করেছিলাম, আমি চেয়েছিলাম শ্রদ্ধার রাজনীতি শুরু হোক। আমি যখন থেকে রাজনীতি শিখেছি তখন থেকেই জেনেছি আওয়ামী লীগ চির রাজনৈতিক প্রতিদ্ধন্দ্বি। কিন্তু আমি দেখিছি আমার বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কী রকম শ্রদ্ধা করতেন।

মাহি বি চৌধুরী বলেন, একদিন বিএনপি নেতা তারেক রহমান আমাকে ফোন করে বললেন আমি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিনার করব, তিনি মেন্যুও জানিয়েছিলেন। আমি আমার মাকে জানালাম। ডিনার তৈরি হচ্ছে এই সময় বঙ্গভবনের নিরাপত্তার পরিবর্তন হলো। পিজিআরকে সরিয়ে এসএসএফ নিয়ন্ত্রণ নিলো। এরপর বিএনপির সংসদীয় দলের সভায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি বলেন, তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির সংসীয় দলের নেতা খালেদা জিয়া আমাকে বললেন, তুমি দলের সর্বকণিষ্ঠ সদস্য, তুমি এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে দেবে এবং পদত্যাগপত্র নিয়ে আসার দায়িত্ব তোমার। এরপর ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২৯ বার আমার উপর আক্রমণ করা হয়। আমাদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে গান পাউন্ডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জীবন নিয়ে কোনো রকম আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। আমরা বাসা ভাড়া পাইনি, বাসা ভাড়ার জন্য সেখানে যাই সেখানেই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা বাধা দেয়। আজ ১২ বছর হয়ে গেছে আমরা একটি মামলা করেছিলাম, তার কোনা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি।

তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে আমরা নির্বাচন করেছি। এর আগে আমরা ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি জোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট হবে না। কিন্তু এতে তারা রাজি হননি। ড. কামাল হোসেন তার বাসায় আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বাড়ি দরজা বন্ধ রেখেছিলেন। লুকিয়ে লুকিয়ে তারা অনৈতিক চুক্তি করলেন। যার ফলে অনৈতিক চুক্তির অনৈতিক ঐক্য-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেন। তখন আমরা আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, জাতীয় পার্ট জোটে যাই। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে অংশ নিলাম। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে কিন্তু মুক্তিযু্দ্ধের প্রশ্নে, স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্ন যখন আসবে তখন আমাদের ঐক্য অক্ষুণ্ন থাকবে।

Bootstrap Image Preview