Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক একটি সিলিন্ডার গ্যাস যেন মৃত্যুফাঁদ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৩৮ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


ব্যস্ত নগরীর ঢাকার ভিতরেই গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য খাবারের দোকান। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সেসব খাবারের দোকানগুলোও বেশ চাহিদাসম্পূর্ণ। ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম অংশের নাম মতিঝিল, আর এই মতিঝিলেই বেড়ে উঠেছে অনেক খাবারের দোকান, যেসব দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাহারি খাবারের আয়োজন।

মতিঝিলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আপনার মাঝে মাঝে হোঁচট খেতে হবে সামনের কোনো দোকানের সিলিন্ডারের সামনে। কখনো জ্যামের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই সিলিন্ডার, কারণ অর্ধেক রাস্তা জুড়েই সে দখল করে রেখেছে আর নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক যানবাহনই হয়তো এক হাত দূর থেকে চলাচল করছে।

রাজধানী মতিঝিলের সবচেয়ে চেনা নাম আরামবাগ এলাকা। এই এলাকার নটর ডেম কলেজের বেশির ভাগ ছাত্রের বাস আরামবাগে। আর এই ছাত্রদের সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা এবং রাতের খাবারের যোগান দেয় অনেক খাবারের হোটেলগুলো।

এদের প্রায়ই প্রত্যেকের সিলিন্ডার রাস্তার পাশেই রাখা অনেকটা অসাবধানতায় তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মতিঝিলের জ্যাম এড়ানোর জন্য অনেকেই আরামবাগের ভিতরের রাস্তা ব্যবহার করেন, কখনো কখনো জ্যাম মারাত্মক আকারে হয়, যদি কখনো এই সিলিন্ডার গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়, অথবা কোনো এক গাড়ির ধাক্কায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়, তবে হয়তো এই এলাকার নামও নিমতলি, চকাবাজারের সাথে যোগ হবে।

একজন নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরকেই পালন করতে হবে। এই চিত্র হয়তো এক আরামবাগের তুলে ধরা হয়েছে, আরামবাগের মতো পুরো ঢাকাতেই এমন হাজারো চিত্র আছে যেখানে অধিকাংশ খাবারের দোকানের সিলিন্ডার একদম রাস্তায় দাঁড় করানো। 

আমাদের একটু অসচেতনতার জন্য আমরা হারিয়ে ফেলি অনেকগুলো চেনা মুখ। আমরা নিজেরাই নিজেদের এলাকাকে, শহরকে মৃত্যুর ফাঁদ বানিয়ে ফেলছি। নিজ উদোগ্যে সিলিন্ডার গ্যাস গুলোকে যদি হোটেলের ভিতরে রেখে রান্না করি এবং এই সিলিন্ডারের মেয়াদ কতদিন আছে, কোথাও গ্যাস বের হচ্ছে নাকি খেয়াল করি তাহলেই হয়তো অনেকটা নিরাপদে বাঁচতে পারবো অন্যকেও বাঁচাতে পারবো।

সিলিন্ডার গ্যাসগুলো যেন মৃত্যুফাঁদের মতো আমাদের সামনে এসে আর না দাঁড়ায় এটাই এখন আমাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে একটু সচেতন হলেই এই ঢাকা আর মৃত্যুকূপ হবে না।

লিখেছেন:- ধ্রুব আলোক
শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী

Bootstrap Image Preview