নাব্য সংকট, অবৈধ জালের ব্যবহার ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে গতিপথ পরিবর্তন করছে ইলিশ মাছ। সাগরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ আসা কমে যাচ্ছে। এতে পেশা হারানোর শঙ্কায় জেলেরা।
এ অবস্থায় ইলিশের গতিপথ সচল রাখতে নদীর প্রবেশমুখে পরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ডুবোচর অপসারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ইলিশের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালো মৎস্য বিভাগ।
জানা যায়,দেশের প্রায় ৩০ ভাগ ইলিশ আহরিত হয় ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী থেকে। ডিম ছাড়ার জন্য সাগর পথ ছেড়ে মিঠা পানির সন্ধানে নদীতে আসা ইলিশের একটা অংশ ধরা পড়ে শিকারিদের জালে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকটের কারণে গভীর জলের এ মাছ নদীতে আসার পথে নানা বাধার মুখে পড়ছে। এছাড়া নদীর স্রোত কমে যাওয়ায় গভীর জলের সন্ধানে পরিবর্তন করছে গতিপথ।
জেলেরা বলছেন,গত কয়েক বছর বর্ষা মৌসুমে ইলিশ পাওয়া গেলেও শুষ্ক মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য নাব্য সংকট দূর করে নদীতে ইলিশের আসা যাওয়া নির্বিঘ্ন করার দাবি জেলেদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় স্রোত কমে গেছে। তাতে সাগর থেকে মাছ আসতে পারছে না। জেলেরা মাছ পাচ্ছে না।