Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওয়াহেদ ম্যানশনের ২ মালিক পলাতক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৭ AM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চকবাজারের হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিককে খুঁজছে পুলিশ। সেদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির ছেলের দায়ের করা মামলায় তাঁরা দুজন আসামি। তবে গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চকবাজার থানায় মো. আসিফ বাদী হয়ে হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক মো. হাসান, মো. শহীদসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মো. আসিফের বাবা মো. জুম্মন চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন। আসিফ মামলার এজাহারে বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজ করে মৃত্যু ঘটানো, ঘরবাড়ি ধ্বংসের জন্য আগুন বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার, উপাসনালয়, মানুষের বসতি বা সম্পত্তি রাখা হয়, এমন দালান ধ্বংস ও লোকসানের অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের চারতলা ভবনের বিভিন্ন তলায় ভবনমালিক দাহ্য পদার্থের গুদাম ভাড়া দিয়েছিলেন। আর্থিকভাবে লাভবান হতে তাঁরা আবাসিক এলাকার ভবনে কোনো পরিবারকে ফ্ল্যাট ভাড়া দেন না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মু. মোরাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁরা ওই ভবনে সব সময় থাকেন না। কালেভদ্রে আসেন। ভূগর্ভস্থ তলাসহ পাঁচটি তলায় পাঁচটি ইউনিট ও প্রতিটি ইউনিটে চারটি করে ঘর ছিল। দুটি ইউনিটে দুটি পরিবার ভাড়া ছিল। আর ভবনটির নিচতলায় দোকানপাট ভাড়া দেওয়া ছিল। সেখানে অনেকেই মারা গেছেন। তবে ওপর থেকে কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি। সে থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনটিতে যাঁরা থাকতেন, তাঁরা বেঁচে আছেন।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মো. হাসান (৫০) ও মো. সোহেল ওরফে শহীদ (৪০) দুজনেই নিরাপদে আছেন। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ওয়াসিউদ্দীন মাহিদের বাবা নাসিরউদ্দীন জানান, তিনি শুনেছেন, ঘটনার দিন মো. হাসান সপরিবার ঢাকার বাইরে ছিলেন। তাঁরা আগে থেকেই চট্টগ্রামে বেড়াচ্ছিলেন। রাতে আগুন লাগার পর আরেক মালিক মো সোহেল ওরফে শহীদ ও তাঁর মা বেরিয়ে যান। নাসিরউদ্দীন ছেলের খোঁজে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন এবং তিনি নিজেই তাঁদের দেখেছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮ টি মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview