Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

একমাত্র ছেলের অবহেলা-অযত্নে বাবা-মায়ের আত্মহত্যা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৫ PM
আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের ওপর নির্ভর করেই চলে বাবা-মায়ের। কিন্তু সন্তান যখন তাদেরকে অবহেলা কিংবা অযত্ন করে তখন তাদের আর কোথাও যাওয়ার পথ থাকে না। তাইতো ভারতের এক বৃদ্ধ দম্পতি ছেলের অবহেলা সইতে না পেরে নদীতে ডুবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও বেঁচে গেছেন স্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। বৃদ্ধ বয়সে এমনিতেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই দম্পতি। তার ওপর সন্তানের অবহেলা। তাই লঞ্চ থেকে নদীতে লাফ দিয়ে দু’জনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামী মারা গেলেও ‘ভাগ্যক্রমে’ স্ত্রী বেঁচে গেছেন।

নদীতে ওই দম্পতি লাফ দেয়ার পর লঞ্চে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা মিলে তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর স্থানীয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে স্বামীকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন আর স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। তাদের একমাত্র ছেলেকে খবর পাঠিয়েছে পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা তাপস কুমার দত্ত ও তার স্ত্রী শুক্লা দত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার সকালে বাগবাজার থেকে হাওড়াগামী লঞ্চে ওঠেন ওই দম্পতি। লঞ্চ যখন উত্তর কলকাতার আহিরীটোলা ঘাটের কাছে পৌঁছায়, তখন হঠাৎ নদীতে লাফ দেন তারা।

হঠাৎ করে এমন দেখে হতবাক হয়ে যান লঞ্চের অন্য যাত্রীরা। তাদের উদ্ধারে দ্রুত পানিতে লাফিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান যাত্রীরা। তবে তাপস কুমার দত্তকে বাঁচানো যায়নি। তার স্ত্রী শুক্লা দত্তের চিকিৎসা চলছে।

কেন এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রশ্ন করলে স্ত্রী শুক্লা দত্ত বলেন, ছেলের সংসারে রীতিমতো অবহেলায় দিন কাটতো তাদের। তাদেরকে ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত দেয়া হয় না। তাই এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে মিলে। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর বৃদ্ধা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

Bootstrap Image Preview