Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুই ডেকে নেয় দুই বান্ধবীকে?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৪ AM
আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৪ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর চকবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো খোঁজ মেলেনি অনেকের। সে তালিকায় আছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের তৃতীয় বষের্র শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি ও বিইউপির এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের রেহনুমা তারান্মুম দোলাও।

জানা যায়, গত বুধবার শিল্পকলার এক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে দুই বান্ধবী রিকশায় করে লালবাগের বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে নিরাপত্তার কারণে তাদের রিকশা শাহবাগে আটকে দেওয়া হয়। এরপর তারা চুড়িহাট্টা হয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

রাত ১০টা ১৭ মিনিটে দোলার সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয় তার পরিবারের। তখন দোলা জানিয়েছিলেন, তারা বেগমবাজারে আছেন। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম, বাসায় ফিরতে আরও ১০ মিনিট লাগতে পারে।

এর মধ্যেই ঘটে চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তখন থেকেই বৃষ্টি ও দোলার ফোন বন্ধ পান স্বজনরা। গতকাল পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দোলার বাবা দুলালুর রহমান দুলাল।

গতকাল ডিএনএ নমুনা দিতে আসা বৃষ্টির ভাই সাইদুল ইসলাম সানি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, টিভিতে চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসে ওদের অনেক খুঁজেছি। কিন্তু বৃষ্টি ও তার বান্ধবীর খোঁজ পাইনি। যে-কটি পোড়া লাশ উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে নারী-তরুণীও রয়েছে। তাই আল্লাহ না করুক আমরা ধারণা করছি, সে রাতে আমার বোন ও তার বান্ধবী হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের পাশের রাস্তায় জ্যামে আটকে পড়েছিল। তারাও হয়তো ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে, তাদের শরীর পুড়ে এতটাই বিকৃত হয়ে আছে যে, চেনা যাচ্ছে না। সে জন্য আমার বাবা জসিমউদ্দিন এবং দোলার বাবাকে নিয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দিয়েছি। র‌্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিটকে জানানো হয়েছে। আশপাশের হাসপাতালগুলোতেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview