ময়মনসিংহের ত্রিশালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় পরিচালিত ধলা ভবঘুরে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। পরিচয় না পাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের গোরস্থানেই দাফন করা হয়েছে তাদের দু'জনকে। ধলা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রটিতে দুই শতাধিক ভবঘুরে নাম পরিচয়হীন বন্দী রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় সুমন (২৫) নামের এক প্রতিবন্ধী বন্দী অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকলে আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে হোসেন (৭০) নামের এক বন্দী গত ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ধক্যজনিক কারণে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে হোসেন নামের ঐ বন্দীর মৃত্যু হয়।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্য আজিজুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে দু'জন বন্দীর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে। অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি।
আশ্রয়কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাছান জানান, বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে সুমন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকলে আমরা প্রতিবন্ধী সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার সকাল নয়টায় হোসেন (৭০) নামের বন্দীর মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আমরা ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকির বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতদের পরিচয় না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরেই দাফনের ব্যবস্থা করেছি। অন্যান্য বন্দীদের চিকিৎসাসেবা-সহায়তা দিতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।