বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যা ছিল দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের একটি। প্রায় ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ২০০ কর্মী স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পায়নি আশেপাশের কোনকিছুই। তবে কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার সাক্ষ্য দিচ্ছে সুউচ্চ ভবনগুলোও। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল শুধু চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ। মসজিদটি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল।
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া প্রতিবেশীদের জন্য কান্নার রোল পড়েছে সেই চুড়িহাট্টা জামে মসজিদে। শুক্রবার পুড়ে যাওয়া ভবনের ১৫ ফিট উত্তরে অবস্থিত চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদে জুমার নামাজের পর মোনাজাতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।
জুমার নামাজের মোনাজাতে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের ইমাম বলেন, ‘হে আল্লাহ যারা এ ঘটনায় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তাদেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। তাদের পরিবারকে শোক সহ্য করে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দান করুন।’
এ সময় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমসহ চুড়িহাট্টাবাসী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
নামাজ শুরুর আগে এমপি হাজী সেলিম মুখপাত্রের মাধ্যমে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার আদেশ ও অনুরোধ, আপনারা কেউ নিজের বাসায় কেমিক্যালের গোডাউন ভাড়া দেবেন না।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে একটি পাচঁতলা ভবনে আগুন লাগে। পরে আগুন আশপাশের আরো তিনটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় অর্ধশত আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।