দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং একুশের গানের মাধ্যমে রাজধানীতে সাড়া ফেলেছে পদাতিক নাট্য সংসদ, বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী একুশ উদযাপন। তাদের এবারের প্রতিপাদ্য হলো : বুকের খুনে যুদ্ধ জারি-অমর একুশে ফেব্রুয়ারি।
৪১ বছরের ধারাবাহিকতায় পদাতিক নাট্য সংসদ বাংলাদেশ, গেলো ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ দিনব্যাপী একুশের গান এবং কানাডা প্রবাসী গুণি নির্মাতা নাদিম ইকবালের “মাদার টাং” প্রামাণ্যচিত্রটি সর্বসাধারণের কাছে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সহায়তায় দিনব্যাপী এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন প্রামাণ্যচিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রূপদানকারী ভাষাসৈনিক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে কানাডা প্রবাসী নির্মাতা নাদিম ইকবাল জানান, ‘মাদার টাং প্রামাণ্যচিত্রটি মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাবাসীকে দেখার সুযোগ করে দেয়ায় আমি মুগ্ধ। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য পদাতিককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো জানান, ’বাংলা ভাষা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে শিগগিরই নতুন উদ্যোগ নিচ্ছি। আমি চাই, অপসংস্কৃতির কালো থাবা থেকে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতিকে রক্ষার পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধন যেন অটুট থাকে।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী জানান, ‘প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করতে পারাটা ছিল আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। নাদিম ইকবাল একজন গুণি নির্মাতা। মাতৃভাষার টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। মাদার টাং প্রামাণ্যচিত্রটি রাজধানীবাসী দেখতে পেরেছে, এটা খুবই আনন্দের বিষয়। একজন কবি হিসেবে, ভাষাসৈনিক হিসেবে, অভিনেতা হিসেবে আমি নিজেও প্রচণ্ড গর্ববোধ করছি। পদাতিকের জয় হোক। জয় হোক মাতৃভাষা বাংলার।’
পদাতিকের ভারপ্রাপ্ত দল প্রধান সাবিল রেজা চৌধুরী জানান, ‘দীর্ঘ ৪১ বছরের ধারাবাহিকতায় পদাতিক নাট্য সংসদ, বাংলাদেশ এবার গুণি নির্মাতা নাদিম ইকবালের প্রামাণ্যচিত্র মাদার টাং রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ রায়ের বাজার, মিরপুর ১ ও ২, উত্তরা ৩ ও ৬ নম্বর, খিলক্ষেত, গুলশান ও হাতিরঝিল এলাকায় দেখানো হয়েছে। আমরা মনে করি, আমাদের এ অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষের মনের গভীরে একুশের চেতনাকে দৃঢ় করার প্রয়াস পেয়েছে।ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করতে পেরেছে।পদাতিককে মানুষের কাছে আরো ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপন করে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।’
উল্লেখ্য, কানাডা প্রবা্সী নির্মাতা নাদিম ইকবাল প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে ৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। একইসাথে ১৭টি দেশের ৪২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে মাদার টাং।