জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থায় (ইউএনডিপি) চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে কলোরোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ৪ শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি জোরপূর্বক মোবাইলে ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারীসহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ বন অফিসের পাশ থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজ কুমার পাল তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন, কলারোয়া থানার হিজলদি গ্রামের মৃত হারেজ উদ্দীন মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলাম মোল্যা এবং একই এলাকার নজরুল ইসলাম গাইনের মেয়ে শ্যামলী খাতুন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী শ্যামনগর থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম নিজেকে ইউএনডিপি সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। তিনি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ৪ শিক্ষার্থীকে ইউএনডিপিতে মোটা অংকের বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেন। একই কলেজের শিক্ষার্থী শ্যামলীর মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম এ প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজী হন কলেজের চার শিক্ষার্থী।
গত বুধবার সংস্থায় ট্রেনিং দেয়া হবে জানিয়ে ওই চার শিক্ষার্থীকে শ্যামনগর থানাধীন সুশীলন রিসোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসেন শ্যামলী।
ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্রতারক রফিকুল শিক্ষার্থীদের রিসোর্ট সেন্টারে ৩০৩ নং কক্ষে আটকে রেখে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে। পরে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
ঘটনাটি ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ও মামলার বাদী কৌশলে শ্যামনগর থানায় অবহিত করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রফিকুলের কাছ থেকে নগ্ন ছবিসহ একটি আইফোন জব্দ করে।
রফিকুল ইসলাম বর্তমানে শিক্ষা অধিদপ্তরের ওএসডি হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি কলারোয়া সরকারি কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন বলে জানান।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।