Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘সম্ভাব্য তিন কারণে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১২ PM
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১২ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় তিন কারণে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে অনেক ক্লু পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তিনটি কারণে আগুন লাগার সম্ভবনা রয়েছে। কারণগুলো হচ্ছে- ট্রান্সফরমার, গ্যাস সিলিন্ডার অথবা কেমিক্যাল বিস্ফোরণ। 

আজ শুক্রবার সকালে চকবাজারে আগুন লাগার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, আগুন লাগার ঘটনায় বিস্ফোরক পরিদফতর থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলমকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। বাকি দুই সদস্য হলেন পরিদর্শক মুনীরা ইয়াসমিন ও তোফাজ্জল হোসেন। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আগুন লাগার স্থান পরিদর্শনের পর পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, আমরা কয়েকটি গাড়ি চেক করেছি। অনেকেই দুর্ঘটনাস্থলে থাকা যেই পিকআপটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাতের কথা বলেছিল। কিন্তু সেই পিকআপের সিলিন্ডারটি অক্ষত অবস্থায় আছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে এই এলাকায় বেশ কিছু কেমিক্যালের দোকান রয়েছে। তাছাড়া ওয়াহিদ ম্যানশনের নিচে কিছু প্লাস্টিকের দানার দোকান ছিল। এ কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

শামসুল আলম বলেন, আমরা যে সিলিন্ডারের লাইসেন্স দেই সেটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক দুই কারণেই দেই। কিন্তু কোন এলাকায় কী পরিমাণ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি থাকবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। সেটি দেখে রাজউক।

পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, কয়েক দিন আগে মেয়র (সাঈদ খোকন) সাহেব আমাদের নিয়ে এসব এলাকা পরিদর্শন করেন। নানা উদ্যোগের কথা আলোচনা হচ্ছিল। আরো আগে শুরু করা গেলে হয়তো এ ঘটনা ঘটতো না। আগুন লাগতেই পারে। কিন্তু সে আগুন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেটাই মূল বিষয়।

উল্লেখ্য, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে গত বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Bootstrap Image Preview