Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে স্তব্ধ সারা দুনিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২১ PM
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকার চকবাজারে বৈদ্যুতিক খুটির ট্রান্সফর্মা বিস্ফোরণের ঘটনায় স্তব্ধ সারা বিশ্ব। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের মোড়ল গণমাধ্যমগুলোর সবাই প্রধান খবরে রেখেছে। রাজধানীর মর্মবিদারক এ অগ্নিকাণ্ডের বিবরণ বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স, এএফপি, এনডিটিভিসহ বিশ্বের সব শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রচার করছে। কিছুক্ষণ পরপর তারা এ ঘটনার আপডেটও দিচ্ছে।

বিবিসিতে শিরোনাম করা হয়েছে, ঐতিহাসিক ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক হতাহত।আলজাজিরাতে শীর্ষে থাকা এ প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে পুরাতন ঢাকায় ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানি।

আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম করেছে, ঢাকার চকবাজারে বিধ্বংসী আগুন, মৃত অন্তত ৬৯।

এএফপির শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীতে অগ্নিকা-ে নিহত ৬৯।

অপরদিকে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড : কেমিক্যালের দোকান হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭০।

এনডিটিভি শিরোনামে লিখেছে, ঢাকার ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু, টুইটে শোক প্রকাশ মমতার।

রয়টার্সে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা।


প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমেই এ ব্যাপারে বড় প্রতিবেদন করা হয়েছে। অনেকেই আপডেট দিচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর।


রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অন্তত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।


এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন উদ্ধারকর্মীরা। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানানো হয়নি। বুধবার রাত ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসন থেকে অগ্নীকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানানো হয়।


আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে, জায়গাটা সংকীর্ণ হওয়ায় জনবল ও সরঞ্জামাদি নিয়ে কাজ শুরু করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এছাড়া পানির সঙ্কটেও পড়তে হয়েছিল। তবে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


এলাকাবাসী বলছেন, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।


খবর পেয়ে এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছেন। সেই সাথে এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্টি আবজর্না সরানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।


এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতাল মর্গে এখন লাশের ভীড়। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে ঢাকা মেডিক্যালের আশপাশ।

Bootstrap Image Preview