হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার লক্ষ্যে আয়োজিত বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের ৫ কর্মচারী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের সভাকক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিএমএ হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যে রাতে হাসপাতালের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএমএ।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। সভাটি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিএমএ এর সাধারণ সম্পাদক ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে বহিরাগতরা এসে হামলা চালায়।এ সময় হাসপাতালের ৫ কর্মচারি আহত হন।
খবর পেয়ে, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহত অবস্থায় আব্দুল হামিদ (৪৬), ফরিদ মিয়া (৩০), শাহজাহান মিয়া (৩০), সালমা বেগম (৪৬), মনীষা (২০) ও শেখ জাহির (৫৫) কে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত ডা. মুজিবুর রহমান পলাশকে গ্রেফতারের দাবিতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
বিএমএ সভাপতি ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেন, ডা. মুজিবুর রহমান পলাশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সভা চলাকালে সে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এসময় সকল চিকিৎসক-কর্মচারীরা ও ডা. মুজিবুর রহমান পলাশকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. পলাশ বলেন, আমি হামলা করিনি। বরং সভার বিষয়ে কেন অবগত করা হয়নি জানতে চাইলে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।