একের পর এক উৎপাদন করে সকল শ্রমিকের কর্মক্ষমতা পেরিয়ে গেছেন এমন দু’জন শ্রমিক তাদের সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল পিনপতন নীরবতা। হাজার হাজার শ্রমিক সাফল্যের গল্প শুনতে গিয়ে অভিভূত হয়েছেন।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় “অগ্রযাত্রা” নামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা চৌরাস্তা এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেডে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড-১ এ মোট ৪ হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। ২০০০ সনে এ প্রতিষ্ঠানটি শ্রীপুর পৌর শহরের বেড়াইদেরচালা থেকে যাত্রা শুরু করে।
লিংকিং অপারেটর ফারুক হোসেন বলেন, কোম্পানীর যথানিয়মে কারখানায় প্রবেশ এবং বের হওয়া, উৎপাদনকাজের সময় অন্য কোথাও মনোযোগ না দেয়া, বিনা কারণে ছুটি না নেয়ায় তারা অন্য সকল শ্রমিকের চেয়ে বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম হন।
ট্রিমিং অপারেটর শাহনাজ আক্তার বলেন, যত বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি তত বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছি। শ্রমিক হয়েও একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তার চেয়ে বেশি বেতন ভোগ করতে সক্ষম হয়েছি। এতে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করছি।
লিংকিং অপারেটর আল আমীন বলেন, আমরা প্রতি বছর সহকর্মীদের সফলতার গল্প শুনে উদ্ধুদ্ধ হই। আবার এগিয়ে যাই সামনের দিকে।
তাছাড়াও লিংকিং অপারেটর বাদশা বলেন, যারা একবার এগিয়ে যাই তারা আর পেছনে ফিরি না। অগ্রযাত্রায় আমাদের পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। বছরের এ অনুষ্ঠানটি আমাদের বিনোদন, প্রেরণা ও এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়।
এছাড়াও মেন্ডিং অপারেটর শাহনাজ আক্তার বলেন, তার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অন্য সকল মানুষের সন্তানদের মতো পড়ালেখা করিয়েছি। সে প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। নীটিং মান নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আক্তার বলেন, তার কন্যা হ্যাপী আক্তার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শ্রমিকদের অংশ গ্রহণে বিনোদনের এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন এসকিউ গ্রুপের চীফ পিপল অফিসার ওয়ারিসুল আবিদ।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি চীফ পিপল অফিসার জোহান আহমেদ, চীফ অপারেটিং অফিসার আমানুর রহমান খান, এসকিউ সেলসিয়াস ইইনট-২ এর চীফ অপারেটিং অফিসার হুমায়ুন মোস্তাক, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) কৃষান্তা সেনেরাত, এসকিউ গ্রুপের সিনিয়র উর্দ্ধতন নির্বাহী নিয়াজ ইলাহী খান প্রমূখ।
দিনব্যাপী সফল শ্রমিকদের সাফল্যের গল্পের পাশাপাশি তাদের সন্তান সন্ততিদের সাফল্যের জন্যও পুরস্কৃত করা হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সন্তানদেরকে পুরস্কৃত করে অন্যান্য শ্রমিকদের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। পরে দিনের শেষ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা ধরনের বিনোদনমূলক কর্মসূচি পালিত হয়।