সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের লাশের সংখ্যাও বাড়ছে। একের পর এক ব্যাগ ভর্তি করে লাশবের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যাগে ভর্তি করে ৩২জনের মৃতদেহ বের করা হয়েছে।নিহতদেরনাম পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার বলছেন, এক একটি ব্যাগে একাধিক লাশ থাকতে পারে। তিন বলছেন ভেতরে আরো অনেক লাশ থাকতে পারে।
রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনে বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিক্ষিপ্তভাবে এখনও বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। ভবনটির ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্ট্রেচারে করে ব্যাগ ভর্তি করে একের পর এক লাশ বের করে নিয়ে আসছেন। কতজন দগ্ধ হয়েছেন তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। অর্ধশতাধিক ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি। ৪জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
প্রাথমিক ধারণা গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকির্ণ, আমাদের পানির শঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। এখানে এখন বিদ্যুত নেই। আমরা জেনারেটর লাগাব। তারপর সার্চ করে দেখব ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কিনা। আমাদের ধারণা মরদেহ থাকতে পারে।
এক প্রত্যক্ষ দর্শী জানান, আমি বাসায় ছিলাম, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আমার ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। এখানের অলিতে গলিতে বিভিন্ন ধরণের মালামাল ছিল। প্রায়সবই পুড়ে গেছে।