Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বেলাব'র ধানক্ষেতে শত শত কৃষকের পার্চিং স্থাপন

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview


'ক্ষেতে ধান লাগানোর পরপরই পার্চিং (কঞ্চি  বা  ডাল স্থাপন) করতে হবে। কারণ ক্ষেতে পার্সিং করলে সেখানে পাখি বসে বিশ্রাম করে। বিশ্রামের ফাঁকে পাখি খাবার খোঁজে। পার্সিং দিলে মাজরা পোকা ডিম পারার আগেই পাখি তা খেয়ে ফেলে। এর ফলে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয় না। কীটনাশক-বিষও লাগে না। এক কাঠা জমিতে একটি কঞ্চি পুতলে দেশে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার কীটনাশক সাশ্রয় হবে। এতে আড়াই হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।'

আজ বুধবার সকালে বেলাবরের কান্দায় ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের লক্ষে আয়োজিত পার্সিং উৎসবে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাজিম অর রউফ খান (বনি) এসব কথা বলন।

এ সময় জমির চাষী মোঃ তৈয়বালী হাসান (৪৫), হাসান উদ্দিন (৫০), কাউছার মিয়া (৪২), করিম উদ্দিনসহ (৫৫) অন্যান্য কৃষকগণ বলেন, এ জেলার কৃষি কর্মকর্তারা প্রায় সময়ই আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আমাদের ফসলী জমিতে বিভিন্ন মোকামাকড়ে ক্ষেত লাগানোর পরপরই ধানের গোচাতে পচন ধরে যায়।

ইতিমধ্যেই বেলাব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সমস্ত রোগ-জীবানু থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই আমরা কৃষকগণ ক্ষতি থেকে কিছুটা বের হতে পেরেছি।

অপরদিকে, একই কর্মসূচি পালন করেন শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা, নরসিংদী সদরসহ প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে।

পার্চিং উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত উদ্ধুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয় ও কৃষকদের মাঝে ফসলী কৃষি জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজিসহ ধান চাষ করার পরামর্ষ দেয়।

Bootstrap Image Preview