Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

`আমি কোনো দুর্নীতি করিনি’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৬ AM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৬ AM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। এমনকি আমি অভিযোগকারীকে চিনি না।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরভবনে এক প্রেস ব্রিফিং এসব কথা বলেন সিসিক মেয়র। এর আগে দুপুরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে নগরে প্রদীপ্ত সিলেটবাসীর ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আরিফুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদীপ্ত সিলেটবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন আমার এমপি ডটকমের চেয়ারম্যান সুশান্ত দাস গুপ্ত। বিকেলে মানববন্ধনে করা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে নগর ভবনে প্রেস ব্রিফিং করেন মেয়র আরিফ।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সঞ্জয় রায় নামের এই ব্যক্তি সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত কোনো ঠিকাদার নয়। নগর ভবন নির্মাণের কাজ পায় মাহবুব ব্রাদার্স। কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে সিসিক কর্তৃপক্ষের সব লেনদেন হয়েছে। এই মানববন্ধনের আয়োজক সুশান্ত দাস গুপ্ত নিজেও সিলেট নগরীর বাসিন্দা নয়। এমনকি তিনি সিলেট জেলারও নয়।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সিলেট নগরীতে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। নগরীর উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে এসব করছে তারা। এসব মিথ্যা অভিযোগে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

এর আগে মানববন্ধনে সঞ্জয় রায় নামের ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ভবন নির্মাণের জন্য ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যে মাহবুব ব্রাদার্সকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। কাজটির সম্পন্ন করার জন্য মাহবুব ব্রাদার্সের তার সঙ্গে চুক্তি হয়। কাজ শুরুর পর থেকে নিয়মত কাজ করার পাশাপাশি বিল ইস্যু করে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেছিলাম। কাজের মাত্র ৫ শতাংশ বাকি থাকতে আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যাই।

এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী মাহবুব ব্রাদার্সকে জিম্মি করে ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঘটনার ২ বছর অতিবাহিতের পর কাজের জন্য রক্ষিত জামানতের ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মেয়র আরিফুল ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার সহযোগী তোফায়েল খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসেন। জামানতের এই চেকের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি করেন সঞ্জয় রায়।

Bootstrap Image Preview