নীলফামারী সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিএনপির শরীক ২০ দলীয় দলের ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির ফয়েজ উদ্দিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে শাহিদ মাহমুদ একক প্রার্থী হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে জেলার ছয় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ২১, ভাইস চেয়ারম্যানে ৩১ ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জনসহ মোট ৭৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাছাই বাছাই, মনোনয়নপত্র বাতিল এবং আপিলে বেশ কয়জন প্রার্থীতা ফিরেও পায়। সর্বশেষ মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এরা হলেন- নীলফামারী সদরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উদ্দিন ও ডিমলা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ও সৈয়দপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক।
ফলে নীলফামারী সদরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে শাহিদ মাহমুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
অপরদিকে জেলা সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যানে ২ জন। জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তাদ্বয় জানান, ছয় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন ও সংরক্ষিত পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।