পটুয়াখালীর বাউফলে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার ৫ মাস পর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গ্রেফতারি পরোয়না জারি হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৃত আবুল হোসেন খান এবং তার অপর ভাই মো. খলিলুর রহমানকে আসামি করে ২০১৭ সালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভগ্নিপতি জসিম মৃধা। আদালত অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খানকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আবুল হোসেন খান মারা যাওয়ার ৪ মাস পরে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খান।
ওই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন বাদীর মানিত সাক্ষী এবং পার্শ্ববর্তী লোকজনের সাথে কথা বলে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। প্রতিবেদনের কোথাও আসামি আবুল হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন এমন কথা উল্লেখ করা নেই। তার এমন প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আদালত ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মৃত আবুল হোসেনের ছোট ভাই খলিলুর রহমান বলেন, একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কোনো ধরনের সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই আমার এবং আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খান। যার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খান বলেন, মামলার বাদী আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং বিবাদীগণ আমার পার্শ্ববর্তী মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীগণের মধ্যে উপস্থিত সাক্ষীগণের জবানবন্দীর ভিত্তিতে আমি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আসামি আবুল হোসেন মারা গেছেন এই বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। তাই এই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে।