প্রেমিকার পাশবিক অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় প্রেমিককে। পুলিশ যখন উদ্ধারের জন্য আসেন তখনো প্রেমিকা জর্দান ওর্থের সঙ্গে একই ছাদের নিচে অবস্থান করছিলেন প্রেমিক অ্যালেক্স স্কিল। অবশেষে পুলিশ নৃশংস প্রেমিকার হাত থেকে উদ্ধার করে অ্যালেক্সকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বাঁচিয়ে আনে।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডে। পুলিশ যখন অ্যালেক্সকে উদ্ধার করে তখন তিনি প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিলেন। তাকে গরম পানি দিয়ে ঝলসানো হয়েছে এবং ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বিবিসির একটি ডকুমেন্টারিতে গতকাল সোমবার এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
জর্দান তার বয়ফ্রেন্ড অ্যালেক্সকে তার সঙ্গে বেড শেয়ার নিষিদ্ধ করেছিলেন, খাবার কেড়ে নিয়ে রেখে দিতেন, কী কাপড় পরবেন তাও ঠিক করে দিতেন জর্দান। অ্যালেক্সের বন্ধু এবং পরিবার থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন, এমনকি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত জর্দানের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
২৩ বছর বয়সী অ্যালেক্স ‘অ্যাবিউজ বাই মাই গার্লফ্রেন্ড’ নামক বিবিসির ডকুমেন্টারিতে তার উপর অত্যাচারের কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, হেয়ারব্রাশ থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যেটা দিয়ে মারেননি প্রেমিকা। মাঝে মাঝে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হতো। এজন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় জর্দানকে। যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী হিসেবে বাধ্যকারী এবং নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের জন্য গতবছর কারাগারে যেতে হয়।
অ্যালেক্স স্কিল এবং জর্দানের বন্ধুত্ব হয় ২০১২ সালে। পরে ২০১৭ সালে দুজনের ঘর থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে অ্যালেক্সকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বেডফোর্ড হসপাতালে ভর্তি করে।