Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ড. শহীদুল্লাহ পদক পাচ্ছেন পাটগ্রামের নারী নেত্রী সাজেদা

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:১২ PM
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:১২ PM

bdmorning Image Preview


নারী উন্নয়নে ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ভাষা সৈনিক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সম্মাননা পদক পাচ্ছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদা আক্তার।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রফেসর আখতার ইমাম হলরুমে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করবে স্বাধীনতা সংসদ নামক একটি সংগঠন। নারী নেত্রী সাজেদা আক্তার বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্বে আছেন।

নারী নেত্রী সাজেদা আক্তার ১৯৬৩ সালের ১০ আক্টোবর পাটগ্রাম উপজেলার ঘোনাবাড়ী এলাকায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা ছিলেন ওই এলাকার একজন আদর্শ কৃষক। পাটগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে সাজেদা আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা আফির উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে।

১৯৯১ সালে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকার দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই সংগঠনের সভানেত্রীর দায়িত্বে আছেন। ২০০৮ সালে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পাটগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।

সাজেদা আক্তার সংসার গন্ডি পেরিয়ে রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে প্রতি মুহুর্তে মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক ও সমাজ উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডগুলোতে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। একজন নারী হিসেবে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় এর ক্ষতিকর দিকগুলো সংসার জীবনে বুঝতে পারায় সব সময় বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন তিনি।

এছাড়া নারী নিযার্তন রোধে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ফলে পাটগ্রামে আম জনতার কাছে সাজেদা আক্তার একজন সাহসী নারী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। সমাজ উন্নয়নে তার ভূমিকা দেখে স্বাধীনতা সংসদ নামক একটি সংগঠন তাকে সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ প্রসঙ্গে সাজেদা আক্তার বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে সমাজের নানা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কম বয়সে আমার বিয়ে হওয়ায় নিজেই বাল্য বিয়ের ক্ষতিকারক বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছি। তাই যখন সময় পেয়েছি নিজের অবস্থান থেকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধসহ নারীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আমি সমাজ সেবায় ভূমিকা রেখে যাবো। পাশাপাশি আমার সম্মাননা পাটগ্রামবাসীকে উৎসর্গ করলাম।

Bootstrap Image Preview