Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সরিষা তোলা শেষ, শুকানোর প্রস্তুতি চলছে বাড়ির উঠানগুলোতে

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:০১ PM
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:০১ PM

bdmorning Image Preview


নরসিংদী জেলার পলি মাটি এলাকায় ও গ্রামাঞ্চলে সরিষার আশাতীত ফলন হওয়াতে কৃষকরা মাঠে নেমে ভোরের সকালে নিজের ফসলী জমি থকে উত্তোলন করছে সরিষা। জমি থেকে সরিষা তোলা প্রায় শেষের পথে। এখন মাড়াই ও শুকানোর কাজ চলছে পুরোদমে বাড়ির আঙ্গিনায় ও মাঠে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এ অঞ্চলের প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার টনের বেশি সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। হাট-বাজারে প্রচুর পরিমানে সরিষা আমদানি হবে। চড়া দমে সরিষা বিক্রি করতে পারলে চাষিরা মহাখুশি হবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার নরসিদংদী সদর, রায়পুরা, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব, পলাশ উপজেলায় চলতি রবি মওসুমে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন আগাম ও নাবী বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সরিষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও হাটবাজারে বিক্রির জন্য চাষিরা এখন পুরোদমে বাড়ির উঠান ও খালি মাঠগুলোতে রোদে শুকাচ্ছেন। শুকানো সরিষার দাম ভাল পাওয়া যায়। হাট-বাজারে সরিষা বিক্রি করা হবে প্রতিমণ এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। শুকনা সরিষা বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুরার শ্রীরামপুর, যোশরবাজার, বেলাব বাজার, পোরন্দিয়া বাজারে সরষে বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সরষে বেচা-কেনার জন্য বিভিন্ন হাট-বাজারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আড়ৎ। ইতিমধ্যেই আড়ৎগুলোতে অগ্রিম সরিষা কিনে মজুদ রাখার প্রস্তুতি চলছে।

যোশর বাজারের এক ব্যবসায়ী মোঃ আতাউর রহমান বলেন, এবার এই জেলাতে ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ হয়েছে। তাই অতি মুনাফা লাভের আশায় আমরা বাড়তি মাল কিনে গোডাউনে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মেঘনা নদী বেষ্টিত হাসিমপুরের কৃষক মোঃ বাছেদ মিয়া জানান, এক একর জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় এক হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে চরাঞ্চলে ১-২ হাজার টাকা কম খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা উৎপাদন হয়। এ বছর বারি-১৪ জাতের সরিষা প্রতি বিঘায় গড়ে ৭ মণ ফলন পাওয়া গেছে।

নরসিংদী জেলার কৃষি কর্মকর্তা লতা ব্যানার্জী বলেন, চলতি বছর এই জেলার রায়পুরা, বেলাব, নরসিংদী, শিবপুর, পলাশসহ প্রতিটি উপজেলায় সরিষার ভাল ফলন হয়েছে। ফলন বাড়ানোর জন্য ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স বসানো হয়েছিল। মৌমাছি সরিষার পরাগায়ণে সহায়তা করেছে। ফলে সরিষার ফলন বেড়েছে। এ পদ্ধতি প্রয়োগে লাভবান হয়েছেন কৃষক।

Bootstrap Image Preview