যুক্তরাজ্য থেকে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের আইনজীবী।
শামীমার এটি তৃতীয় সন্তান। অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে তার আগের দুটি সন্তান। সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়ে নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া তিন তরুণী যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামিমা বেগম এবং খাদিজা সুলতানা ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। সে সময় শামীমার বয়স ছিল ১৫ বছর।
গত সপ্তাহে লন্ডনের দৈনিক দি টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। তার বয়স এখন ১৯, এবং তিনি অন্তঃসত্বা ছিলেন।
ওই সাংবাদিকের মাধ্যমে শামীমা ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তার আগত শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসতে দেওয়া হয়।
তবে জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা, এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।
এদিকে শামীমার পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুনজি জানান, তারা জানতে পেরেছেন শামীমা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এখনও শামীমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি। আশা করছি তাড়াতাড়ি তা করা সম্ভব হবে।”